নতুন দিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর: দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হল এবারের জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা এই সম্মেলনে যোগদান করতে রাজধানী দিল্লিতে আসতে শুরু করেছেন। একে একে তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ একে একে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। উপস্থিত হয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম প্রমুখ।
প্রতীক্ষিত সেই সম্মেলনের প্রথম দিন আজ। শনিবার সকালে সম্মেলনের জন্য বিশেষভাবে সাজানো কনভেনশন সেন্টার ভারতর মণ্ডপমে উপস্থিত হচ্ছেন রাষ্ট্রনেতারা। প্রথম পর্যায়ে আলোচনার বিষয় হল ‘ওয়ান আর্থ’। দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয় ‘ওয়ান ফ্যামিলি’। এর মধ্যে রয়েছে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা। এছাড়া নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকছে রাত ৮টায়। এই সম্মেলনে মোট ১৫টি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনের জন্য় প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপমের সামনে বসানো হয়েছে নটরাজের মূর্তি। জি-২০ সম্মেলনের আগেই সেই ছবি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের ওরফে ট্যুইটারের কভার ছবিতে হিসেবে আপলোড করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি ফেসবুকের কভারেও সেই ছবি আপলোড করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে গতকালই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে একটি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মোদির। আলোচনায় উঠে আসে তিস্তা জল চুক্তি প্রসঙ্গ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তরফে এখনও কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলেনি। কারণ, এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি রয়েছে। সেজন্য মোদী সার্বিক সম্মতির ভিত্তিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য হাসিনাকে অপেক্ষায় রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভারতে ৬০টির বেশি শহরে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে জি ২০ নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রস্তাব ছিল আফ্রিকান ইউনিয়নকে যাতে জি ২০-র সদস্যপদ দেওয়া যায়। সবার সমর্থন নিয়ে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে আসন গ্রহণ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রে এগিয়ে চলার বার্তা দিয়ে মোদী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বাসের একটি সঙ্কট তৈরি হয়েছে। যুদ্ধে সেই ক্ষত আরও বড় আকার ধারণ করেছে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, আমরা যদি করোনাকে হারাতে পারি, তাহলে এই বিশ্বাসের সঙ্কটকেও আমরা কাটাতে পারব।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই টুইট করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভাল লাগল।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক যাতে অটুট থাকে, দুই দেশ যাতে আরও বেশি কাছাকাছি আসে, বাঁধন আরও শক্ত পোক্ত হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক গতকাল ভারতের মাটিতে পা রেখেই মন্দির দর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সময় ভগবৎ গীতাকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছিলেন। গত বছর জন্মাষ্টমীর দিনেও মন্দিরে গিয়েছিলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
previous post