ক্রমবর্ধমান নগরারোয়ন এবং জন সংখ্যার নিরিখে দেশের সর্বত্র গ্রামের পাশাপাশি শহরেও বিকল্প চাষ বা ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ডেভলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস সেন্টার এর উদ্যোগে রবিবার নিউ টাউনের বাংলার জৈব হাটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী তথা ডিআরসিএসসি এর কর্ণধার পূর্ণেন্দু বসু। তিনি বলেন দেশ জুড়ে জঙ্গল বন ধ্বংস করে নগরায়নের কাজ চলছে।
জনসংখ্যার অনুপাতে তাই কৃষিকাজ ও খাদ্য উৎপাদন বিপন্নের পথে। তাই গ্রামের কৃষকের পাশাপাশি শহরের মানুষকেও তার বসবাসের চৌহদ্দির মধ্যেই যার যা সামর্থ্য অনুযায়ী বিকল্প চাষের উদ্যোগ নিতে হবে। সেটা বাড়ীর ছাদে, বা লনে, মাটির টবে, কিম্বা বাড়ীর যে কোনো ফাঁকা জায়গায় ছোটো ছোটো ভাবে আনাজ,সবজী,ফল ইত্যাদি ফলানো উচিৎ। তাতে মানুষকে অনেক বাজার নির্ভর জীবন যাপন থেকে মুক্তি দেবে আর ভেজাল খাদ্য থেকেও রক্ষা করতে পারবে। সভার পরিচালনা করেন রাজ্য সভায় সাংসদ দোলা সেন।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বহু কৃষি বিজ্ঞানী, খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ। আলোচনায় উঠে আসে খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক রঙের ব্যবহার ও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মানুষের শরীরে নানা রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে জৈব সারের ব্যবহার শুধু নয়, জৈব ভাবে উৎপাদিত সবজী ও বীজ রোপণ করার জন্য কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা আনতে জোর দেওয়া হয়।
পাশাপাশি রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে চাষীদের বাধ্য করার কথা বলা হয়। সমাজ ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিশেষ করে শিশুদের ব্যবহৃত খাদ্যকে বিষ মুক্ত করতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর থেকে ঘরে বসে রেডিমেড খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে ঘরে বসে তৈরী করা খাবারে অভ্যস্ত হতে হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠান শেষে শহরাঞ্চলের আধুনিক রান্নাঘর থেকে হারিয়ে যাওয়া শাক সবজি ও রসনার সামগ্রী পরিবেশন করা হয় আলচনায় উপস্থিত প্রতিনিধি ও অতিথিদের।
previous post