শুভদীপ চক্রবর্তী: খড়দহ,৩ রা মে।এক দশক আগে খড়দা থেকে সেবামূলক কাজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে এক রাষ্ট্রবাদী সংগঠন। হিন্দু জাগরণ, সনাতনী সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার যাদের মূল লক্ষ্য। যাদের সেবামূলক কাজ রাজ্যব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি রাজ্যের বাইরেও। তারাই এবার মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান এবং মালদা জেলার মোথাবাড়ি এলাকার নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে এসে দাঁড়ালো। সংগঠনটি ইদানীংকালে বাংলায় খুবই পরিচিতি লাভ করেছে — ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’।
আজ ৩ রা মে খড়দার কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠে আয়োজিত একটি সংক্ষিপ্ত সভায় তারা কিছু নতুন তাঁতের শাড়ি ঘরছাড়াদের পরিবারের মহিলাদের জন্য পাঠিয়েছে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে তা গ্রহণ করেছেন সঞ্জয় শাস্ত্রীজী। তিনি বলেন, বস্ত্রগুলি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে পীড়িত মানুষের কাছে। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের স্থানীয় বিভাগ প্রচারক বরুণ ঘোষ, নগর প্রচারক দেবার্ঘ্য বসু, সমাজসেবী মলয় চক্রবর্তী সহ আরও বহু বিশিষ্টজন৷ দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ড. কল্যাণ চক্রবর্তী এবং মিলন খামারিয়া।
মিলন বাবু বলেন, দেশের মাটি বরাবরই পীড়িত মানুষের কাছে তাদের সাধ্যমতো ত্রাণ পৌঁছে দেবার চেষ্টা করে — সে করোনা পরিস্থিতিই হোক, বা অ্যাম্ফুন ঝড়, অথবা বন্যা কিংবা হিন্দু নিধন পরিস্থিতি। এ বছর তারা রাজ্যে এবং পার্শ্ববর্তী ওড়িশাতেও বহু গরীব মানুষকে কম্বল দান করেছে। ধুলিয়ান ও মোথাবাড়িতে জেহাদী আক্রমণে ঘরছাড়া হিন্দু মহিলাদের জন্য ‘দেশের মাটি’ পরিধানের বস্ত্র পাঠাতে পেরে তারা খুশি। এই বার্তাই তারা সমাজকে দিতে চায় যে, হিন্দুদের বিপদে তারা সবসময় এগিয়ে আসবে। অরাজনৈতিক রাষ্ট্রবাদী এই সংগঠনটির জন্ম খড়দাতে, এক দশক আগে। বরুণ ঘোষ সংগঠনটির কাজকর্মে সাধুবাদ জানান, বলেন, এই সংগঠনটিকে আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।
