নিজস্ব প্রতিনিধি— বর্ষবরণের রাতে দিঘার এক হোটেলে ১৯ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হোটেলের বিছানা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম প্রীতি কর। পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর এলাকার বাসিন্দা প্রীতি ছয় মাস আগে প্রীতম ঠাকুর নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। নববর্ষ উদযাপনের জন্য তাঁরা দিঘার একটি হোটেলে ওঠেন।
নববর্ষ উদযাপনের পর রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁদের ঘর থেকে চিৎকার শুনে হোটেলের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, প্রীতি অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। দ্রুত তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে কী কারণে প্রীতির এমন মর্মান্তিক পরিণতি? খুন, না কি আত্মহত্যা?
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রীতির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।