সংবাদ কলকাতা: এ যেন সিনেমার থ্রিলার হার মানবে। একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে জন্ম নেওয়া শিশু পুত্র ১৪ দিনের মাথায় বাড়িতে ফেরার পর তিন দিনের মধ্যে চুরি করল আয়া। শিশুকে নিয়ে যায় নদীয়ার তেহট্ট এলাকায়।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার সাংবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। এক গৃহবধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বেড়া বেড়াচাপার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তিনি সেখানে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার দেখভাল করতে আসে ওই নার্সিংহোমের এক আয়া। সেখান থেকে সদ্যোজাত শিশু পুত্রের মা-বাবার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর সেই সূত্র ধরে শিশুর বাড়িতে ছাড়পত্র পেয়ে যায় ওই আয়া। যাতে ওই শিশু পুত্রের দেখভাল করতে পারে, তার জন্য অনুরোধ করে সে। সেই কথামতো শিশু পুত্রের মা-বাবা ওই আয়াকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
গতকাল শনিবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ ওই সদ্যোজাত শিশুকে চুরি করে নিয়ে যায় নদীয়ার তেহট্ট গ্রামে। এরপর ওই শিশু পুত্রের বাবা-মা বাদুড়িয়া থানায় আয়ার বিরুদ্ধে শিশু চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধান্ত মন্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটা বিশেষ মোবাইল টিম তৈরি করে। সেখান থেকে অপারেশন শুরু হয়। প্রথমে ওই আয়ার মোবাইল ফোন নাম্বার ট্র্যাক করা হয়। জানা যায়, তার গন্তব্যস্থল নদীয়াতে। সেখানে গিয়ে নদীয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে যৌথভাবে শিশু চুরির মূল পান্ডা ওই আয়া এবং তার দুই শাগরেদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জেরায় সে স্বীকার করেছে, ওই শিশু পুত্রকে তারা চুরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার ফন্দি করে। এখানে এসেছিল বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়ে।
previous post