April 16, 2025
দেশ

Sharad Yadav passes away: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শারদ যাদব প্রয়াত

গুরুগ্রাম, ১৩ জানুয়ারি: প্রয়াত হলেন শারদ যাদব। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর কন্যা সুভাষিণী শরদ যাদব ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন। সাতবারের সাংসদ এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০ নাগাদ তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘সংজ্ঞাহীন অবস্থায় গুরুগ্রামের ফর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে শ্রী শারদ যাদবকে আনা হয়েছিল। পরীক্ষায় তাঁর নাড়ির স্পন্দন বা রক্তচাপ ধরা পড়েনি। নিয়ম মোতাবেক তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। সবরকমের চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। রাত ১০ টা ১৯ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি রামমনোহর লোহিয়ার আদর্শে দীক্ষিত। সত্তরের দশকে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে আন্দোলনের হাত ধরেই উঠে এসেছিলেন শারদ। তিনি ইন্দিরা হটাও আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে জনতা পার্টির হয়ে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম জিতেছিলেন। তাঁর প্রতীক ছিল ‘হলধর কিষান’। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর।

১৯৯৭ সালে পূর্বতন জনতা দল থেকে বেরিয়ে শারদ নতুন দল গঠন করেন। নতুন দলের নাম হয় জনতা দল (ইউনাইটেড) বা জেডিইউ। বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই দলে যোগ দেন। ২০০৩ সালে জেডিইউ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন শারদ যাদব। ২০১৪ সাল নাগাদ নীতীশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। এমনকি ২০১৭ সালে ‘মহাগঠবন্ধন’ ভেঙে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠনের সময় নীতীশের বিরোধিতা করেন শারদ। যার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে নীতীশ শারদকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। সেজন্য ২০১৮ সালে তিনি জেডিইউ ছেড়ে লোকতান্ত্রিক জনতা দল গঠন করেন।

১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল। এই সময়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য হন। বাজপেয়ী সরকারের একাধিক মন্ত্রক সামলেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলে রাজ্যসভা থেকে নির্বাচিত হন। এরপর বিহারের মাধেপুরা থেকে ২০০৯ সালে ফের জিতেছিলেন শারদ যাদব। মণ্ডল কমিশন, বর্ণভিত্তিক জনগণনামহিলা সংরক্ষণ বিলের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

সম্প্রতি শারীরিক কারণে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছিল না। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

Related posts

Leave a Comment