গ্রেটার নয়ডার ২৬ বছরের তরুণী নিকি, যাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চুল ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ছেলের সামনে ও দিদির সামনেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, তার মা জানিয়েছেন যে বিয়ের সময় এবং পরে নাতির জন্ম উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িকে গাড়ি, সোনা, মোটরবাইক সবই দেওয়া হয়েছিল।
নিকির মা বলেন, “বিয়ের আগে তারা স্করপিও গাড়ি দাবি করেছিল। আমরা দুটো সুইফট ডিজায়ার গাড়ি দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু তারা জোর করে স্করপিওর টপ মডেল চায় এবং সেটাই নিই। বিয়ের সময় আমরা ৩০ তোলা সোনা এবং একটি স্করপিও দিয়েছিলাম।” ছেলের জন্মের পর আবারও ১১ তোলা সোনা ও একটি বুলেট মোটরবাইক দেওয়া হয়। মা আরও জানান, “নিকি বারবার নির্যাতনের কথা বলত। আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু শ্বশুর ও দেওর এসে ক্ষমা চাইত এবং প্রতিশ্রুতি দিত যে আর হবে না। পরে আবার তাকে নিয়ে যেত। কিন্তু কিছুই বদলায়নি।”
নিকি বলত, একদিন সব ভালো হবে। কিন্তু আজ সে চিরতরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে—একটিতে দেখা গেছে স্বামী বিপিন ভাটি ও শাশুড়ি মিলে নিকিকে চুল ধরে টেনে মারধর করছে। আরেকটিতে অসহায় নিকি আগুনে পুড়ে বসে আছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নিকির স্বামী বিপিন ভাটি ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে বিপিন ভাটি গুলিবিদ্ধ হয়ে পায়ে আঘাত পায় এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ফোর্টিস হাসপাতাল থেকে পুলিশের কাছে খবর দেওয়ার পর, যখন গুরুতর দগ্ধ নিকিকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
