জোহানেসবার্গ, ২২ নভেম্বর: আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে প্রশ্নটা—আমেরিকা কার্যত অনুপস্থিত থাকলে জি–২০ কি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বে, নাকি এই অবস্থাই তৈরি করবে নতুন শক্তির উত্থানের সুযোগ? বিশেষত বৈশ্বিক অর্থনীতি, জলবায়ু ফাইন্যান্স, প্রযুক্তি-নিয়ন্ত্রণ এবং ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের সময়ে এই শীর্ষ ফোরামে মার্কিন অনুপস্থিতি স্পষ্টভাবেই ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা গাইডিং ফোর্স না থাকায় দুই সম্ভাবনা সমান জোরে দেখা দিচ্ছে—একদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দায়সারা মনোভাব ও নেতৃত্বের অভাব, অন্যদিকে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া-সহ উদীয়মান অর্থনীতির জন্য নিজেদের ভূমিকা আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার সুযোগ।
ভারত কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি দক্ষিণ গোলার্ধের স্বরকে সামনে রেখে জি–২০ এজেন্ডাকে এগিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলি উদ্বিগ্ন—মার্কিন প্রভাব কমলে চীন কি বাড়তি সুবিধা পাবে? ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়বে কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।
স্পষ্ট, মার্কিন অনুপস্থিতি জি–২০-কে এক অনিশ্চিত পথের সামনে দাঁড় করিয়েছে—যেখানে শূন্যতা ও সুযোগ দু’টোই সমান বা
