রবিবারের ছুটির দিনে একটি দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল দমদম জংশন। অত্যধিক ব্যস্ততার জেরে প্রাণহানি হল এক বৃদ্ধের। প্রথমে একটি পা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও হাসপাতালে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ চলন্ত হাবড়া লোকালে উঠতে গিয়ে ঘটে এই ঘটনা। পা ফসকে পড়ে যান প্লাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝের ফাঁকা স্থানে। চার নম্বর প্লাটফর্মে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি বুঝতে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে যায়। ট্রেনের চাকার তলায় পড়ে হাঁটুর নিচ থেকে তাঁর বাঁ পা কেটে দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জিআরপি ও রেলকর্মীরা। লোকটি তখন ট্রেনের তলায় ছটফট করছেন। প্রাণ হাতে নিয়ে কোনোক্রমে বাঁচার জন্য তিনি রেললাইন ও প্লাটফর্মের মাঝের ফাঁকা জায়গায় চলে আসেন।
কিন্তু রেলকর্মীরা কোনওভাবে ট্রেনের তলা থেকে লোকটিকে উদ্ধার করতে পারছেন না। এদিকে চার নম্বর প্লাটফর্ম সংলগ্ন লাইনে ততক্ষণে একটি মালগাড়ি চলে আসে। ফলে ট্রেনের অপর প্রান্ত থেকে লোকটিকে বের করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরকম অবস্থায় কিছুক্ষণের মধ্যে লোকটি ট্রেনের তলায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন। ততক্ষণে মালগাড়ীটিও চলে যায়। এরপর ডাউন হাবড়া লোকালটি শিয়ালদহের দিকে এগিয়ে গেলে লোকটি স্ট্রেচারে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে জিআরপি-র দমদম থানা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বনগাঁ ও হাসনাবাদ লাইনে পুরোনো কোচ যুক্ত বেশ কয়েকটি দূর পাল্লার ট্রেন চালু করা হয়েছে। এইসব ট্রেনগুলির একটি সমস্যা হচ্ছে, বনগাঁ লাইনের প্লাটফর্মের সঙ্গে ট্রেনের মধ্যে একটি বড় ফাঁকা অংশ থেকে যাচ্ছে। যার ফলে দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে। কারণ, প্রথমত এই লাইনের অধিকাংশ যাত্রী এই ধরণের ট্রেনে ওঠানামায় অভ্যস্ত নয়। ফলে একটুর জন্য পা সরে গেলেই যাত্রীরা নিচে পড়ে যাচ্ছেন। যার জেরে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।