28 C
Kolkata
June 25, 2025
কলকাতা

সাগরের মহিষামারি গ্রামে হুগলি নদীর বাঁধে বড়সড় ভাঙন

সংকল্প দে, সাগর: নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টির ঝোড়ো ইনিংস। নিম্নচাপ কোটালের জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধগুলিতে ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ফাটলের কারণে রাতের ঘুম উড়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যে কোটালের কারণে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার নদীগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষামারি গ্রামে হুগলি নদীর মাটির নদী বাঁধে বড়সড় ধস নামল। প্রায় ১০০ মিটারের মতন মাটির নদী বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। এই নদী বাঁধের পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও কয়েকশো বিঘে চাষের জমি। নদী বাঁধ ভেঙে গেলে নদীর নোনা জলে প্লাবিত হবে গ্রাম ও চাষের জমি।

আতঙ্কে নদী বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নদী বাঁধের বেহাল দশায় কথা বারংবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। নিম্নচাপের জেরে যে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে, তার ফলে মাটির নদী বাঁধ ধসে যেতে শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি হুগলি নদীতে কোটালের কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদী বাঁধে ধস নেমেছে। পুজোর আগে যদি বাঁধ মেরামতি না হয়। তাহলে পুজোর সময় যে ঝড় আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর, সেই দুর্যোগে আমাদের গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ দাস বলেন, সেচ দপ্তরের তরফ থেকে এই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছিল। অস্থায়ীভাবে এই নদী বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। নদী বাঁধে চট ও বালির বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে কাজ সম্পন্ন হয়নি। মাটির নদী বাঁধে ধস নেমেছে। দ্রুততার সাথে প্রশাসন এই নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বেহাল নদী বাঁধ যত দ্রুত সম্ভব মেরামতি করুক প্রশাসন। নাহলে আমরা সবাই ভেসে যাব।

Related posts

Leave a Comment