নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: অবশেষে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন! পাশাপাশি, বিশ্বভারতীও বিশ্বের একমাত্র ‘লিভিং ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। অর্থাৎ শান্তিনিকেতন আশ্রম, পাঠভবন, সঙ্গীতভবন, কলাভবন, রবীন্দ্রভবন তথা উত্তরায়ন প্রাঙ্গণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই খবর এসে পৌঁছতেই খুশিতে মেতে ওঠেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক সহ বোলপুরের বাসিন্দারা। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরাও এই খবরে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার সহ বিশিষ্টরা। আজ, সোমবার উপাসনা গৃহে এই স্বীকৃতির সেলিব্রেশন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের স্থাপত্য ও ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলির তত্ত্বাবধান করে। সেগুলি সব আজও একইভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এবং নিয়মিত ব্যবহৃতও হচ্ছে। সেজন্য এএসআই-এর সুপারিশক্রমে কেন্দ্র সরকার শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত বছর ২৫ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস(আইসিওএমওএস)-এর প্রতিনিধিরা শান্তিনিকেতন পরিদর্শন করেন। সেই মতো তাঁরা শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। রবিবার এই স্বীকৃতির কথা ট্যুইট করেন তিনি।
শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো
