অপর্ণা সেন: রচনা ব্যানার্জি শুধু বাংলায় নন, ওড়িশা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপার হিট নায়িকা হিসেবেও প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। আজ গোটা বাংলার মানুষের কাছে তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন; বাঙালি মা বোনেদের কাছে তিনি এখন দিদি নাম্বার ১। কিন্তু, রচনার আসল নাম কী! তা জানেন না শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ।
তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন প্রথম পা রাখেন, তখন তাঁর সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নায়িকা। আর তিনি তাঁদেরকে টপকেই নিজের জায়গা করে নেন। আর এই সেরা স্থান দখল করাটা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। সেজন্য একসময় তাঁকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রচনা যখন প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, তখন তাঁর নাম কিন্তু রচনা ছিল না। আজ গোটা বাঙালি সমাজ তাঁকে রচনা বলে জানলেও, তাঁর আসল নাম ছিল ঝুমঝুম ব্যানার্জী। ফিল্মে আসার সময় বিখ্যাত পরিচালক সুখেন দাস ঝুমঝুমকে রচনা হিসেবে পরিচিতি দেন।
জানা গিয়েছে, একটি ছবির চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে পছন্দ করলেও, তাঁর নামটি মোটেই পছন্দ হয়নি পরিচালক সুখেন দাসের। তিনি তখন তাঁর নাম রাখেন রচনা ব্যানার্জি। শোনা যায়, ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ থেকেই তাঁর এই নাম রাখা হয়েছে। তিনি এই নামে অল্পদিনের মধ্যেই গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসেবে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
বিনোদন জগতে সুখেন দাসের দেওয়া নাম আর অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর পারদর্শিতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। খুব অল্প দিনেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান তিনি। যেভাবে তিনি এই খ্যাতি লাভ করেছেন, তা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। যদিও স্কুলের শংসাপত্রে তাঁর নাম ছিল ঝুমঝুম। আবার তিনি মিস ক্যালকাটা খ্যাতিও পেয়েছিলেন এই ঝুমঝুম নামেই। তবুও রুপোলি পর্দার দৌলতে তাঁকে আমরা সবাই রচনা বলেই জানি। আর এখন দিদি নাম্বার ১ -এর সৌজন্যে তিনি ঘরে ঘরে বাঙালি মেয়েদের মনের মনিকোঠায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।