সংবাদ কলকাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্য মেঘালয় ও ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে বুধবার নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। এবার ভোটমুখী মেঘালয়ে বাংলা মডেল নিয়ে হাজির হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তৃণমূল সরকারে এলে বাংলায় যেসব উন্নয়ন প্রকল্প চালু আছে, তার সবই মেঘালয়ে চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমেই আমি মেঘালয়কে স্যালুট করতে চাই তার গৌরবের জন্য। পরের বার আমি এখানে আসব এবং আপনাদের স্থানীয় ভাষা শিখব। আপনারা নিশ্চয় রাজনৈতিকভাবে ক্ষুধার্ত। আপনারা যদি বর্তমানের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার পরিবর্তন করতে চান, তাহলে তৃণমূলই কেবলমাত্র বিকল্প। আর কোনও বিকল্প রাজনৈতিক দল নেই’।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার পেশা নয়। এটা আমার নেশা। আমার মনে হয়েছে জনসাধারণের সেবা করা উচিত রাজনীতির আঙিনায় থেকে। তাই এখন কোথাও আগুন লাগলে, দুর্ঘটনা ঘটলে সরকারে থেকেই আমরা সাহায্য করতে পারি। কেউ মারা গেলে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারি। আমরা প্রতি বছর কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিই। বাংলায় ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ৯.৫ কোটি সাধারণ মানুষদেরই বিনামূল্যে রেশন দিই। এমনকি সেগুলি তাঁদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাও দিই। দিল্লি, অসমে কত খরচ? কলকাতায় আসুন, আমরা বিনামূল্যে পরিষেবা দেব।’
তিনি বলেন, ‘৬০ হাজার শিশুকে আমরা বিনামূল্যে হার্টের অপরাশেন করিয়েছি। প্রসবের সময় বহু মা মারা যান। তাঁদের সন্তানদের জন্যও মিল্ক ব্যাঙ্ক রয়েছে। পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকার স্মার্ট ক্রেডিট কার্ড দিই। আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা থেকে আমি এখানে হেলিকপ্টারে এসেছি। তাতে ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে। অসম থেকে এলেও ৪৫ মিনিটই সময় লাগত। তাই এই সুবিধার জন্য বাংলার সঙ্গে মেঘালয়ের সরাসরি গেটওয়ে তৈরি করা উচিত। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্য গেটওয়ে হল কলকাতা। মেঘালয়ে ৫ বছর ধরে এনডিএ সরকার কী করেছে? রিপোর্ট কার্ড কোথায়? আমরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, আগে রিপোর্ট কার্ড দেখান। তারপর সব কথা বলবেন।’
এখন দেখার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিশ্রুতিতে মেঘালয়ের মানুষের মন গলে কিনা।