ভাঙড়: আবারও নতুন করে অশান্ত ভাঙড়। বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে নতুন করে ফের উত্তপ্ত হল এলাকা। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। ভোটের দিনে, ভোট গণনার দিনে, এমনকী তারও পরে বার বার গোলমালের অভিযোগ উঠেছে ভাঙড়ের বেশ কিছু এলাকায়। আর এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও ভাঙড়ের পিছু ছাড়লনা অশান্তি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে বুধবার ফের উত্তপ্ত হল ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকার মাঝেরহাটি গ্রাম।
এদিন ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। বোর্ড গঠনের পর আইএসএফ কর্মীদের বাড়ি ও দোকান লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিজিয়া বিবি, আসুরআলি মোল্লা, আরিফ মোল্লা সহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় জিরানগাছা প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। আহতরা প্রত্যেকেই আইএসএফ কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
এই গোলমালের ঘটনায় এলাকার আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। জেসমিনা বিবি নামে এক আইএসএফ কর্মী তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘এদিন তৃণমূলের বোর্ড গঠন ছিল। সেই বোর্ড গঠন করে তৃণমূলের লোকজন ফিরছিল। ওদের কাছে বোমা ছিল। চারটি বোমা মারে একসঙ্গে। দোকানের পাশে কয়েকজন বসেছিলেন। সেই বোমা ছিটকে এসে লেগেছে তাঁদের। বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। আর ওরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে। এখন দেখা যাক কী হয়।’
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের সঙ্গেও। তাঁর দাবি, এমন কোনও অভিযোগ তাঁর কানে এখনও যায়নি। তিনি বলেন, ‘কারা বোমা ফাটাচ্ছে, কারা বোমা মারছে, কারা পটকা ফাটাচ্ছে… এটা আমাদের দেখার দায়িত্ব নয়। আমাদের দলীয় কর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও জায়গায় কোনও গন্ডগোল ও কাউকে কোনওভাবেই আক্রমণ করা যাবেনা। কোথাও অশান্তি করা যাবে না। গত ১৩ তারিখ ভাঙড়ে শান্তিপূর্ণ বিজয় মিছিল হয়েছে। মাঝেরহাটির মতো জায়গায় বোমা মারার লোক আমাদের নেই’।
previous post
next post