29 C
Kolkata
August 2, 2025
রাজ্য

পুজোর মধ্যেই বৃষ্টিতে ভাসানোর জেদ ধরেছেন রেইনম্যান

সংবাদ কলকাতা, ১৭ অক্টোবর: কেউ বলে রেইনম্যান। কেউ বলে বারিষকর, আবার কেউ বলে বুজরুক। আসলে কে এই rainman? পুজোর মুখে কেন আবার তিনি খবরের শিরোনামে! এত স্পর্ধা তার হল কী করে! যেখানে আবহাওয়া দপ্তর বলছে, কোনও বৃষ্টি হবে না। তিনি কী করে বলছেন পুজোয় ভাসিয়ে দেবেন? অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাপারটা সত্যি! আবহাওয়া দপ্তরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন ঠিক পুজোর মুখে। ঠিক কী বলেছেন রেইনম্যান? শোনা যাক।

বেশ কয়েক বছর rainman এব্যাপারে হৈচৈ করে আসছেন। বলছেন ৩০ কোটি বাঙালির মধ্যে ২০ কোটি নাকি পানিতে পড়ে গেছেন। তাঁরা গোসল করেন, দাওয়াত যান। তাঁরা গনিমতের মাল ভোগ করতে ভালোবাসেন। তাঁরা পুজো তো করেনই না, উপরন্তু তাঁদের ধর্মের প্রবক্তার উদাহরণ মোতাবেক হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে থাকেন। ২০২১-এর পুজোয় বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরে তিনটি সাধুকে হত্যা করা হয়েছিল। ভাঙ্গা হয়েছিল অবন্তি দেবী মূর্তি। দাঙ্গা বাধাবার জন্য চক্রান্ত করে গভীর রাতে হনুমান মূর্তির পায়ের তলায় কোরআন শরীফ রেখে দিয়েছিল। এই কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের মাধ্যমে জনরোষ তৈরি করা হয়েছিল। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল লুণ্ঠন। নিরীহ হিন্দুদের উপর আক্রমণ, ধর্ষণ ও হত্যা! এতকিছুর পরেও কোনও প্রতিবাদ এই বাংলায় শোনা যায়নি। না নেতা, না বুদ্ধিজীবী, না সাধারন মানুষ। ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল ২০২১-এর অষ্টমীর রাতে। রাগে, তীব্র ক্রোধে এবং তীব্র জিঘাংসা নিয়ে রেইনম্যান উড়ে গিয়েছিলেন শিলচরে। দশমীর রাতেই। বলে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে বন্যায়, সাইক্লোনে ভাসিয়ে দেবেন। এব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন আমরা বাঙালির কর্মকর্তা সাধন পুরকায়স্থ মহাশয়।

ঠিক ওই সময়ে এক সাইক্লোন কলকাতায় আসার কথা ছিল। রেইনম্যানের দাবি, তিনি আসন্ন সাইক্লোনটি কলকাতা থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। যদিও সেটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ এবং আসামে প্রবল বন্যা সৃষ্টি করে। গত ১০০ বছরের ইতিহাসে আসামে এমন বন্যা হয়নি। রেইনম্যান আরও বলেছেন, আসামেও যেহেতু বাঙালি হিন্দুদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে আটকে রাখা হচ্ছে, আসামেরও এই শাস্তি প্রাপ্য। যতদিন না পর্যন্ত সমস্ত নিরাপরাধ হিন্দুদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্প নামক কাল কুঠুরি থেকে ছাড়া হচ্ছে, ততদিন আসাম কিন্তু রেইনম্যানের টার্গেটে আছে।

ঘটনাচক্রে কাকতালীয় হলেও ২০২১ এর পর থেকে সব সাইক্লোনই বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। প্রথমে সিট্রাঙ্ক তারপরে মুকা। ২০২১-এর আগে অন্য কোনও বছরে দুটি চিমটি সাইক্লোন, দশ বছরে মোট বারোটি সাইক্লোন এই বাংলায় ঢুকে ছিল আইলা, আমফান, ফনি বুলবুল, ইয়াস, হুদহুদ সহ আরও বেশ কয়েকটা। রেইনম্যান কিন্তু এই সাইক্লোনের ভয়েই 2021-এর পর বাংলায় বাঁশি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন।

কিন্তু যেহেতু এই আত্মবিস্মৃত বাঙালি আসামে বাংলাদেশী এবং ভারতের অন্যান্য জায়গায় বাঙালির উপরে নানান অত্যাচার, বঞ্চনা, অন্যায়ের প্রতি কোনওরকম ভ্রুক্ষেপ করছে না, উল্টে খেলা মেলা পুজো এবং নানান আঁতলামিতে ডুবে রয়েছে। এখনও বুঝতে পারছে না, তাড়াতাড়ি এই বাংলা কাশ্মীর বা বাংলাদেশের মতো ইসলামিক রিপাবলিক অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল হয়ে যাবে।

তাই তিনি হিন্দু রিপাবলিক অফ বেঙ্গল নামক একটি নির্বাচিত দেশ তৈরি করেছেন। যার ভূখণ্ডটি হল বাংলাদেশের মাটি। যেখান থেকে কয়েক কোটি হিন্দু জান, প্রাণ, মান বাঁচাবার তাগিদে ভারতবর্ষে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অথচ এই ভারতবর্ষ নির্লজ্জ ভারত। বাঙালির জমি, বাড়ি, প্রাণ, মান, রক্ত নিয়ে স্বাধীনতা পেয়ে এখন বাঙালি হিন্দুর নাগরিকত্ব চাইছে!

রেইনম্যান হিন্দু রিপাবলিক অফ বেঙ্গলের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁর অনুরোধ, বাংলাদেশের মাটি থেকে হিন্দুদের জমি উদ্ধার করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ফাইল করতে হলে অর্থের দরকার। তাই তিনি বলছিলেন, সমস্ত প্যান্ডেলকে নিজ নিজ ও বাজেটের এক প্রতিশত অর্থ এই নতুন দেশকে দিতে হবে।

এই জন্যই তিনি প্রথমে মেঘ ডেকে, দেখিয়ে দিতে চান, তিনি কি পারেন, বা না পারেন। যদি পুজোর উদ্যোক্তারা তাঁকে সদর্থক আশ্বাস দেন, তাহলে তিনি পুজোর মেঘ বাংলাদেশে নিয়ে যাবেন। এখন দেখার বিষয় হল, আবহাওয়া দপ্তরের ভবিষ্যৎবাণী উপেক্ষা করে শরতের আকাশে মেঘের আগমন হয় কিনা!

Related posts

Leave a Comment