November 3, 2025
দেশ

দেশজুড়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকা নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার অভিযান, শুরু হয়েছে জল্পনা

নতুন দিল্লি: না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। মোদির এই নীতি এবার দ্রুত বাস্তবায়িত হতে চলেছে। দুর্নীতিতে জড়িত কোনও বাহুবলীকেই আর ছাড় দেবে না কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেজন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকা নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই, এমনকি আয়কর দপ্তর। সরকারি সূত্রের খবর, এক অথবা একাধিক চার্জশিট জমা পড়েছে যাঁদের বিরুদ্ধে, এমন অভিযুক্ত নেতাদের সবার আগে গ্রেপ্তার করা হবে। শুধুমাত্র বিরোধীরা নয়, দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকলে ছাড় পাবেন না এনডিএ কিংবা বিজেপি নেতারাও। এটাই মোদী সরকারের মোদ্দা কথা।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তদন্তপর্ব চলছে কিংবা চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, এরকম দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত নেতানেত্রীদের ধরতে দ্রুত মাঠে নেমে পড়তে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআই, এমনকি আয়কর দপ্তর। চলতি মাস থেকেই তাদের গ্রেপ্তারি পর্ব শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে তেমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এমনকী গ্রেপ্তারির তালিকায় কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকলেও তিনি বাদ পড়বেন না। এমনটাই জল্পনা। তিনি হতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, কিম্বা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই স্বাভাবিকভাবে তাঁদের গ্রেপ্তারি অসম্ভব নয়।

তবে শুধুমাত্র এই দুইজন নয়। ইডি-সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে আরও বেশ কিছু নাম। তালিকায় বাদ পড়ছেন না এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তালিকায় রয়েছেন লালু পুত্র ও বিহারের বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ইতিমধ্যে বুধবার অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। ওই দিনই ইন্ডিয়া জোটের বিশেষ কমিটির বৈঠক। এদিকে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে। এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই। যে কোনও সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই আশঙ্কা করছে আরজেডি শিবির।

অন্যদিকে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া। তেলেঙ্গানার বিআরএস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার বিরুদ্ধেও সেই একই মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর এক মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। শাসকদল ডিএমকের দু’জন পদস্থ নেতামন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডি সরকারের সিআইডি দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেপ্তার করেছে। মোদী সরকারের দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের এটি একটি অংশ বলে মনে করছে জাতীয় রাজনৈতিক মহল। চন্দ্রবাবু ইন্ডিয়া জোটে নেই! বরং তিনি এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার জল্পনা রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। তা সত্ত্বেও তাঁকে রেহাই দেয়নি জগন্মোহন রেড্ডি সরকার। অনেকের ধারণা, এই গ্রেপ্তারি কেন্দ্রের মোদী সরকারের ইঙ্গিতেই হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment