ডায়মন্ড হারবার, 29 জুলাই: ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তের সামনে থেকে প্রচুর পরিমাণ খোকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ ও মৎস্য দপ্তর। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার জানিয়েছেন, ট্রাকে বোঝাই করে প্রচুর পরিমানে খোকা ইলিশগুলি পাচার করা হচ্ছিল বিভিন্ন খুচরো ও পাইকারি বাজারে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। এদিন প্রথমে ৪০ কেজি ও পরে আরও সাড়ে তিন কুইন্টাল খোকা ইলিশ ওই ট্রাকগুলি থেকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ ও মৎস্যদপ্তর। বাজেয়াপ্ত হওয়া খোকা ইলিশগুলি নিলাম করে মৎস্য দপ্তর।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ৪০ কেজি খোকা ইলিশ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে এবং সাড়ে তিন কুইন্টাল খোকা ইলিশ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে নিলাম করা হয়েছে। নিলাম চলাকালীন মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমুদ্রের রূপালী শস্য বাঁচাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে বলেও তিনি জানান।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, এধরনের পদক্ষেপে খুশি মৎস্যজীবী মহল ও সংগঠনগুলি। সরকারি নিয়মে ২৩ সেন্টিমিটারের নিচে ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন সেই নিয়মকে অগ্রাহ্য করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে খোকা ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা। বেআইনিভাবে যারা খোকা ইলিশ ধরার ও কেনাবেচা করার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কঠোর শাস্তি হবে বলে জাজান তিনি। কেবল একদিন অভিযান চালালেই হবে না, লাগাতার এই বেআইনি ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ওই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।
previous post