ডায়মন্ডহারবার, ৮ আগস্ট: এখনও কেন পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ নিয়ে এবার বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করলেন ২০০৯ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ডায়মন্ডহারবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেন তারা। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাদরে হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবারের উত্তর হাজীপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষার সংসদের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন ২০০৯ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। এদিনের বিক্ষোভে ছিল অভিনবত্বের ছোঁয়া। শিক্ষার সংসদের গেটের সামনে খাটিয়াতে একটি জীবন্ত মৃতদেহ সাজিয়ে রেখে বিক্ষোভ দেখান তারা। এ বিষয়ে এক চাকরি প্রার্থী দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন,’আমাদের কথা কেউ তো ভাবেনা, আমরা যেন জীবন্ত লাশ হয়ে গিয়েছি। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও আমাদেরকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী সবাই এসি ঘরে বসে আছেন, এদিকে আমরা দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছি। ১৪ বছর হয়ে গিয়েছে, তাও আমরা চাকরি করার সুযোগ পাইনি। মেধা কি তাহলে এইভাবে রাস্তায় পড়ে থাকবে?’ এ বিষয়ে বিক্ষোভকারী সুদীপ্তা নস্কর বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত আমরা চাকরি পাইনি। ১৪ বছর ধরে আমরা লড়াই চালাচ্ছি। আগামী দিনের নবান্ন অভিযান সহ একাধিক বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব আমরা। সাধারণত ১২ বছর কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । আমরা তো ১৪ বছর ধরে বঞ্চিত। আমরাও তো জীবন্ত লাশ হয়ে গিয়েছি। আমাদের কথা কেউ কি আর ভাববে?’ যদিও এইদিন জেলা প্রাথমিক পর্ষদের চেয়ারম্যান অফিসে না থাকার কারণে তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
previous post