সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: গুজরাটে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল ও অনগ্রসর শ্রেণীর নেতা জিগনেশের সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ফলে সেখানে বিরোধীদের ভোট একত্রিত হওয়ায় আসন সংখ্যা কিছু বাড়লেও বিজেপির ভোট কমেনি। বরং বেড়ে যায়। সেসময় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ঢাকঢোল পিটিয়ে গুজরাটে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করে। কংগ্রেস সরকার গঠনের জন্য বিভিন্ন প্রলোভন ও ললিপপ দেখালেও তাতে বিন্দুমাত্র ভোলেননি গুজরাটবাসী। তাঁরা সরকার হটানোর প্রচার ও প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই লাভ হয়নি।
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১১৫টি আসন। ২০১৭ সালে বিরোধী ভোট একত্রিত হওয়ার ফলে ১৬টি আসন বিরোধীদের হাতে চলে যায়। আসন সংখ্যা কিছুটা কমলেও বিজেপির আগের তুলনায় শতকরা ভোট বেড়ে যায় ১.১৫ শতাংশ। এদিকে বিজেপি ৯৯টি আসনে জয় লাভ করে। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের আসন সংখ্যা ৬১ থেকে বেড়ে হয় ৭৭। ফলে কংগ্রেসের কাছে শাসন ক্ষমতা অধরা থেকে যায়। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় বিজেপি ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।
এবার এই রাজ্যে কংগ্রেস আগের তুলনায় আরও দুর্বল। এদিকে হার্দিক প্যাটেলও এখন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তাই গুজরাটে এখন কংগ্রেস খুবই অপ্রাসঙ্গিক। পরিবর্তে বিরোধীদের ফাঁকা মাঠে ললিপপ দেখিয়ে হাওয়া গরম করতে চাইছে আপ নেতা কেজরিওয়াল। যাতে কংগ্রেসের ভোট কিছুটা হলেও দখল করে গত্তি বাড়ানো যায়।