সংবাদ কলকাতা: গার্ডের কেবিনে ঢুকে মালগাড়ি ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা এক যুবকের। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর স্টেশনে। ওই যুবকের দাবি, মালগাড়ি নিয়ে যেতে হবে তার বাড়ি পর্যন্ত। সেজন্য কেবিনে ঢুকে গার্ড জনক সাহুকে ছুরি দেখিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করে। এমনকি গার্ডের গলায় গামছা পেঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক। যুবকের বাড়ি জলাপাইগুড়ি জেলার বীরপাড়ায়। নাম ফারুক মিয়া। তার বয়স প্রায় ৩৫ বছর। মালগাড়ির গার্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক আগে জলপাইগুড়ির চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করত। এরপর বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে খড়্গপুর স্টেশনে নেমে পড়ে। সেই থেকে খড়্গপুরে ভবঘুরের মতো মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকে। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ সিগন্যাল না পেয়ে খড়্গপুর স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে পড়ে ভদ্রক থেকে আসা কয়লা বোঝাই একটি মালগাড়ি। সেটি মেচেদার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় হাতে ছুরি নিয়ে গার্ডের কেবিনে উঠে এই কান্ড ঘটায় ওই যুবক। কেবিনের দুই দিকের দরজা বন্ধ করে দেয় সে। ছুরি উঁচিয়ে ওই যুবক গার্ডকে কেবিনের দরজা খুললে তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার ভয় দেখায়। গার্ড সুযোগ বুঝে স্টেশন ম্যানেজারকে ফোন করে।
ইতিমধ্যে সিগন্যাল পাওয়ায় মালগাড়িটি ফের চলতে শুরু করে। এবং খড়্গপুর স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফর্মে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৭ নম্বর প্লাটফর্মে চলে আসে জিআরপি ও আরপিএফ। তাঁরা দরজা খুলে তার অসুবিধার কথা জানাতে বলা হলেও কোনও মতেই সে দরজা খুলতে রাজি হয়নি। এমনকি তাকে চা জল খাবার খাইয়ে অনুনয় বিনয় করা হলেও কোনও কাজ হয়নি। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে এই অবস্থা চলতে থাকে। শেষে ওই যুবক গার্ডের গলায় একটি গামছা পেঁচাতে গেলে গার্ড গামছা নিজের হাতে জড়িয়ে ছুরিটি ধরে ফেলেন এবং কেবিনের দরজা খুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ ও জিআরপি আধিকারিকরা ওই যুবককে আটক করে ফেলেন।
previous post