32 C
Kolkata
April 19, 2025
রাজ্য

“কারচুপি শিল্প”-কে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে শাসক দল: শুভেন্দু

সংবাদ কলকাতা: ‘গ্রামে-গঞ্জে কচুরিপানা শিল্প হোক বা না হোক, ভোটের সময় “কারচুপি শিল্প”-কে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে শাসক দল। মানুষ বোম-বন্দুক ধমক-চমক উপেক্ষা করে ভোটে লড়লেন। ভোটের দিনের সন্ত্রাসের কিছুটা প্রতিরোধও করলেন। কিন্তু গণনা কেন্দ্রে যে লুটতরাজ সংগঠিত হল প্রশাসনের দ্বারা, সেখানে তো জনগণের প্রবেশ নিষেধ। ‘

আজ নিজের ট্যুইটারে ট্যুইট করে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গণনায় কারচুপি নিয়ে কার্যত তিনি শাসকদল তৃণমূল ও সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। তিনি বলেন, ‘কতিপয় বিরোধী প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্ট বনাম দলদাস পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলের স্থানীয় মাতব্বরগণ, যাদের অবাধ প্রবেশের জন্য ঢালাও প্রবেশপত্র বা আই কার্ড বিলি করা হয়েছিল। গণনা কেন্দ্রে পুরো সিস্টেম কাজ করছিল এই উদ্দেশ্যে যে, কিভাবে বিরোধীদের কোণঠাসা করা যায় ও চাপে ফেলা যায়।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘সকালে গণনা ইচ্ছে করে ২-৩ ঘণ্টা দেরিতে শুরু করা হয়। এবং ঘন ঘন বিনা কারণে গণনা বিলম্বিত করা হয়। যাতে যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা শুরু হবে, ততক্ষণে যেন মধ্য রাত পেরিয়ে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল হয়ে যাওয়ার পর সেই সব এলাকার প্রার্থীরা তাদের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। তাই যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনের গণনা মধ্যরাতে চলছে, তখন হাতে গোনা কয়েকজন বিরোধী প্রার্থী উপস্থিত রয়েছেন।
গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে চলছে ব্যাপক সন্ত্রাস। বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়। হয় ভুলভাল ফলাফল মেনে নিন, নয়তো বাড়ি ফিরবেন কী করে! একটা বিষয় লক্ষণীয়, যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল বিরোধীদের পক্ষে গেছে, সেখানেই নাকি শাসকদল অপর দুই স্তরে ব্যাপক ভোট পেয়েছে। হাস্যকর!

অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার খুঁটি নাটি সম্বন্ধে অবগত নন। বিশেষ করে গণনা কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ সম্বন্ধে তো একেবারেই নন। এইবার বিরোধীদের দাবি ছিল, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের গণনা একসঙ্গে সমান্তরালভাবে সম্পন্ন করানোর। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা একই সাথে করতে হবে। কিন্তু এই দলদাস প্রশাসন রাজি হয়নি। কারণ স্পষ্ট, গণনার নামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে পুকুর চুরি করা।

এই ১১ তারিখ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা যদি একই সঙ্গে হতো, তাহলে তৃণমূল অন্তত ৫টি জেলা পরিষদ হারাতো এবং প্রচুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতো।’

Related posts

Leave a Comment