শঙ্কর মণ্ডল: মুম্বইয়ে আজ আবারও যখন ভারতের সব এক একটা রত্ন ভারতের সরকার গঠনের দিবা স্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত; ঠিক তখনই রাজ্যের ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে একই মঞ্চে জোট প্রার্থীর সমর্থনে অধীর চৌধুরী ও সেলিম তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট চাইলেন। যা তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ করে বকলমে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, আজই মুম্বইতে মেগা বৈঠকে যে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিষেক ব্যানার্জীর নাম জ্বলজ্বল করছে। আসলে কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল সবকটাই বিদেশী মদতপুষ্ট।
৭৫ বছর স্বাধীনতার মধ্যে প্রায় ৫০ বছর সরকার চালিয়েছে কংগ্রেস। বাকি বিজেপি অটলজীর ৬ বছর ও মোদী সরকার প্রায় ১০ বছর। আর বাকি মিলি ঝুলি সরকার। ভারত এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর আগে এই ভারত ভিক্ষুর মত বিভিন্ন দেশের কাছে ব্যবহার পেত। কোনও স্ট্যাটাস ছিল না। সিপিএম চিরকাল কখনও রাশিয়া, কখনও চীনের দালালি করেছে। এখনও তাই করে। কংগ্রেস ব্রিটিশদের হাতে তৈরি, আর তৃণমূল তালিবানের মদতপুষ্ট।
যাই হোক, ভারতের বিশ্বগুরু হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। ভারতের প্রকৃত গৌরবের ইতিহাস একটু একটু করে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত হচ্ছে। রমিলা থাপার, ইরফান হাবিবদের বিকৃত ইতিহাস মানুষ পরিত্যাগ করছে। আইজাক নিউটনের অনেক আগে বরাহমিহির মহাকর্ষ শক্তির আবিষ্কার করেছেন। আর্যভট্টের গণিত, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, চাণক্যের রাষ্ট্র বিজ্ঞান, সুশ্রুতের চিকিৎসা বিজ্ঞান সহ সব বিষয়েই ভারতের ব্যক্তিরাই ছিল শ্রেষ্ঠ। আর আজ এই অপদার্থরা দেশের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করবে?
যাঁরা সামান্য বৃষ্টির কারণে কলকাতার জমা জল দূর করতে না পারার জন্য মেয়র ববি হাকিম ও মেয়র পারিষদ, নিকাশি তারক সিং, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তাঁরা দেশের সরকার চালাবে? রাজ্যের প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি। যারা প্রতিটি স্তরে ভুয়া, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত। তাদের কোনও অবস্থাতেই মানুষ দেশের ক্ষমতা দেবে না। আর বাকি ঐ ২৬টা দলের প্রায় অধিকাংশই পরিবারের উন্নতি করতেই বদ্ধপরিকর। সুতরাং এই মূহুর্তে সারা দেশ বলছে আরও একবার মোদী সরকার।
previous post