অভিজিৎ হাজরা, আমতা: বন্ধ্যাত্ব এক অসুখ। শুধু মহিলারাই নয়, পুরুষরাও ভোগেন বন্ধ্যাত্বে। এই অসুখ থাকলে বিবাহিত দম্পতির সন্তান আসে না। তাই বন্ধ্যা রোগীরা হীনমন্যতায় ভোগেন। আধুনিক চিকিৎসায় বন্ধ্যাত্ব নিরাময় সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা ও বিকল্প পদ্ধতিতে সন্তান আসে। বন্ধ্যা দম্পতির মুখে ফোটে হাসি। এদের কথা ভেবেই ‘নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি’-র সহযোগিতায়, গ্ৰামীণ হাওড়া জেলা তথা উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভার অন্তর্গত আমতার ‘স্নেহা নার্সিং হোম ‘-এর হোমে গড়ে ওঠে ‘বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ক্লিনিক’। ‘নোভা আই ভি এফ ফার্টিলিটি’-র উদ্যোগে আমতার ‘স্নেহা উৎসব ভবন’-এ হয়ে গেল এক গুরুত্বপূর্ণ ‘বন্ধ্যাত্ব নিরাময়” বিষয়ক পরামর্শ শিবির।
উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন জাইডাস-এর সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার শ্রী পার্থ দাস। পরামর্শ শিবিরে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা, আধুনিক বিকল্প পদ্ধতি ও তার খরচ-খরচা নিয়ে সুচারুভাবে আলোচনা করেন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞা ডাঃ সুগতা মিশ্র। পুরাণ থেকে আজকের সমাজ ব্যবস্থায় বন্ধ্যাত্বের পরম্পরা বিষয়ে আলোকপাত করেন স্নেহা নার্সিং হোমের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুমন সরকার। ডাঃ সরকার বলেন, “সঠিক চিকিৎসা, ধৈর্য্য আর তপস্যা বন্ধ্যাত্বদের সন্তান আসতে সহায়তা করে।” বিশিষ্ট সোনোলজিস্ট ও ফিজিশিয়ান ডাঃ প্রবিদ গোলুই ও ডাঃ অনন্যা ঘোষ গোলুই স্বাভাবিক সন্তান ও বিকল্প সন্তান চিকিৎসার নানা দিক তুলে ধরেন। বন্ধ্যাত্ব ও সমাজবিজ্ঞানের টুকরো কথা বলেন, সামাজিক মানুষ তাপস মান্না। উপস্থিত সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান নার্সিং হোমের ম্যানেজার শ্রী সুব্রত হাজরা। শ্রী হাজরা জানান, এখন থেকে প্রতি ইংরেজি মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার ‘স্নেহা বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ক্লিনিকে’ চিকিৎসা হবে বন্ধ্যাত্ব রোগীদের। উদ্বোধন ও সমাপ্তি সংগীত পরিবেশন করেন স্বামী শুদ্ধগুণাত্মানন্দ মহারাজ।
উপভোগ্য এই পরামর্শ শিবিরে অংশগ্ৰহণ করেন শতাধিক গ্ৰামীণ চিকিৎসক, নানা স্বাস্থ্য কর্মী, ক্লিনিক ও ওষুধ ব্যবসায়ীবৃন্দ। শিবিরে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সহ সকলকে আন্তরিকভাবে বরণ করে নেন স্বাস্থ্য সেবিকা বেলা মান্না, শম্পা ঘোষ, কেয়া পাত্র, শম্পা ভোঁড়, সঙ্ঘমিত্রা রায়, মনিকা অধিকারী, মুনমুন ভৌমিক, শম্পা রাম প্রমুখ। স্নেহা নার্সিং হোমের স্বাস্থ্য সহায়ক সঞ্জীব কাঁড়ারের নির্দেশনায় ও সঞ্চালক দীপংকর মান্নার মধুর সঞ্চালনায় পরামর্শ শিবিরটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।