নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়নগর: আবারও দক্ষিণ শহরতলিতে বড়সড় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ মিলল। দক্ষিন ২৪ পরগনার জয়নগর থানার কাশীপুরের কামারিয়া গ্রামে রীতিমত রমরমিয়ে চলছিল এই কারখানা। বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হানায় শেষমেশ গ্রেপ্তার হয় ওই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম রহমতুল্লা শেখ। উদ্ধার হয় দুটি লং ব্যারেল গান, আটটি পাইপগান। এছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম সহ বেশ কয়েকটি অসমাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রহমতুল্লা দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি ও কেনাবেচার সাথে যুক্ত ছিল। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পর বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা জয়নগর থানা ও বকুলতলা থানার পুলিশকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে যৌথভাবে অভিযান চালায়।
মূলত ক্রেতা সেজে প্রথমে যোগাযোগ করা হয় ধৃত অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাথে। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র ডেলিভারি করার কথা ছিল জয়নগরের ময়দা এলাকায় একটি নার্সিংহোমের সামনে। নির্ধারিত সময়ের পরেও প্রায় দেড় ঘন্টা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। পুলিশ কর্মীরা মোটরসাইকেল ও অটোতে ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর ময়দা এলাকা থেকেই শেষমেষ অভিযুক্তকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে পুলিশ। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
নির্জন এলাকায় দুকামরার ঘর ও সামনে চালাঘরেই চলছিল আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারবার। বাড়ির পেছনেই রয়েছে পুকুর। যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে, সেজন্য পুকুরের জলেও প্লাস্টিক দিয়ে সিল করে লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। সেই পুকুর থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়িতে অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলে থাকত। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কারখানায় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র মূলত কোথায়, কোথায় ও কাকে বিক্রি করা হত এবং কে কে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তা জানতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
previous post