আত্রাই উপজেলা পোস্ট অফিসের বেহাল দশা

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি: কিছুদিন আগের কথা। প্রিয়জন কিংবা পরিচিতজনের একটি চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় এক সময় অনেকেরই যাতায়াত ছিল পোস্ট অফিসে। চিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এই পোস্ট অফিস। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন অনেকটাই ফিকে হয়েছে।

তবে এখনও জীবন বীমা, সঞ্চয়পত্রে টাকা জামানত রাখা, কিংবা জরুরী কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব অপরিহার্য। এসব কারণে এখনও অনেক গ্রাহক প্রতিদিন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলোতে আসেন তাঁদের কাঙ্খিত সেবা পেতে। অথচ এই পোস্ট অফিসগুলো বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তেমনি একটি জরাজীর্ণ বেহাল দশার পোস্ট অফিস নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার (আহসানগঞ্জ) পোস্ট অফিসটি।

মঙ্গলবার সকালে আত্রাই উপজেলা (আহসানগঞ্জ) পোস্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের সামনের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে পড়ছে। অফিসটির প্রধান গেটটিও নড়বড়ে। অফিসের ভিতরের এবং বাহিরে সমস্ত ছাদের প্লাস্টার খুলে পড়েছে। ছাদ নির্মাণের যে রডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, পলেষ্টার খুলে সেগুলো সব দেখা যাচ্ছে। বারান্দায় বৃষ্টির জল পড়ে রডগুলোতে জং ধরেছে। উপজেলা পোস্ট অফিসটি (আহসসানগঞ্জ) সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনটির গায়ে শ্যাওলা পড়ে গিয়েছে।

অফিসের ভিতরে গিয়ে ভবনটির জীর্ণ দশা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবে। ছাদের অধিকাংশ স্থানে প্লাস্টার নেই বললেই চলে। ভিতর থেকে ছাদের দিকে তাকালে মরিচা ধরা লোহার রডগুলো চোখে পড়বে। বৃষ্টির সময়ে ভবনটির বিভিন্ন স্থানজুড়ে ছাদ চুইয়ে জল পড়ে। এর ভিতর ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম চালাচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

যে কোনও মুহূর্তে ভবনটি ধসে দুর্ঘটনা ঘটতে পরে। প্রাণহানি সহ বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সেবা গ্রাহদের অভিমত। এব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত আত্রাই উপজেলা( আহসানগঞ্জ) পোস্ট মাস্টার মোঃ জহির উদ্দিন মন্ডল বলেন, অনেকদিন ধরে উপজেলা পোস্ট অফিসটি (আহসানগঞ্জ) জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর এর মধ্যেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছি। পোস্ট অফিসটি সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূণ হয়ে উঠেছে। ভবনটির সংস্কারের জন্য পোস্ট অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।