ধান ও ভুট্টা ফসলে ছড়িয়ে পড়া হলদে রোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান বিধায়করা।জিরো আওয়ারে এমএলএ কেওয়াল সিং পাঠানিয়া শাহপুর ও আশপাশের এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই রোগের দিকে বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, ব্যাপক হারে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে কৃষকরা ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দেবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দাবি করেন তিনি। 
এছাড়া আক্রান্ত জমিতে বিশেষজ্ঞ দলের জরুরি পরিদর্শনেরও দাবি তোলেন।প্রসঙ্গটি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী চন্দর কুমার জানান, রোগটি মূলত ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণের কারণে হয়েছে। এই পোকা ধান ও ভুট্টার প্রায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসল নষ্ট করেছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শন চলছে, তবে উচ্চ তাপমাত্রা অঞ্চলগুলোতে পোকাটির বিস্তার দ্রুত ঘটছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকার ‘রিলিফ ম্যানুয়াল’-এ সংশোধন আনছে যাতে ৩০ শতাংশের বেশি ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। বর্তমানে এমন কোনো ধারা নেই।
এটি কার্যকর হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কৃষকদের অবিলম্বে সুরক্ষা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

