চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ঘিরে বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে এ আয়োজনকে বৈশ্বিক দক্ষিণের সংহতির বড় প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্দরনগরী তিয়ানজিনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ২০ জন রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চীন ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের SCO সম্মেলনকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, এটি হবে “নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।” বিশ্লেষকদের মতে, শি জিনপিং এই সম্মেলনকে ব্যবহার করতে চান এমন এক নতুন বিশ্বব্যবস্থা দেখানোর জন্য, যেখানে আমেরিকা ও ইউরোপ থাকবে না।ভারত ও চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে তেমন সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না, বিশেষ করে ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর। 
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় নয়াদিল্লি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী হয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি জোরদার করার পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে মধ্যস্থতার দাবি করে নয়াদিল্লিকে অস্বস্তিতে ফেলেন। 
এ ছাড়া, ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিল্লিকে কূটনৈতিক অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করে।এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাই মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর চীন সফর করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন—যা ছিল ২০২০ সালের সীমান্ত উত্তেজনার পর প্রথম বৈঠক। 
এ মাসের শুরুর দিকেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফর করে জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় ওয়াং ই আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিকে SCO সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্রও হস্তান্তর করেন।
							previous post
						
						
					
