April 21, 2025
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের হিন্দুরা কেন ঘরছাড়া আজ, প্রশ্ন তুললেন অলোক কুমার

নিজস্ব চিত্র

কলকাতা, ২১ এপ্রিল: গতকাল, ২০ শে এপ্রিল কলকাতার বাগবাজার গৌড়ীয় মঠে সকাল ১১ টায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মিলিত হলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সভাপতি অলোক কুমার। ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধাচারণ করে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলাসহ রাজ্যের নানান স্থানে হিন্দুদের উপর প্রতিবেশী জেহাদি মুসলমান সমাজের নির্মম আক্রমণে সারা ভারতবর্ষে প্রবল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অলোক কুমার এ রাজ্যে আসেন।

কলকাতায় এদিনের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন দুই বরেণ্য সন্ন্যাসীও। রিষড়া প্রেম মন্দির আশ্রমের সম্পাদক শ্রীমৎ নির্গুণানন্দ মহারাজ এবং কলকাতা অবস্থিত মহানামব্রত সম্প্রদায়ের জাতীয় সম্পাদক শ্রীমৎ বন্ধুগৌরব ব্রহ্মচারী মহারাজ এই অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমৎ নির্গুণানন্দ মহারাজ হিন্দু জাতির উপর এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন।

উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাষ্ট্রীয় সহ-সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায়, ‘বিশ্ব হিন্দু বার্তা’-র মুখ্য উপদেষ্টা এবং দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের সহ-সভাপতি দিলীপকুমার ঝাঁওর ও ‘বিশ্ব হিন্দু বার্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ড. জয়ন্ত বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের বিশেষ সম্পর্ক বিভাগের প্রমুখ সৌগত বসু, সহ-প্রমুখ দীপক চৌধুরী, বিশ্ব হিন্দু বার্তার প্রচার প্রসার প্রমুখ জয়ন্ত ভৌমিক এবং দক্ষিণবঙ্গ প্রদেশ দুর্গা বাহিনী প্রমুখ পারমিতা পাল ও দক্ষিণবঙ্গ প্রদেশ বাল সংস্কার প্রমুখ ব্রততী আচার্য।

অলোক কুমার এদিন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবী তোলেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি স্থান যেভাবে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, সেগুলো আগামী দিনে রাম মন্দিরের মতো মুক্ত করা হবে।

কুমার বলেন, দেশের অনেক স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেছেন মুসলিম সমাজ। কিন্তু হিন্দুদের উপর হিংসার ফলে নৃশংস হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং ব্যাপকভাবে হিন্দুদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ার ঘটনা কেন ঘটল শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে? সংবিধানের শপথ নিয়ে যে ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন, তিনি কীভাবে ঐ আইন পশ্চিমবঙ্গ চালু হতে দেবেন না বলেন? এটাকে কী সংবিধান বিরোধী বলে ভাবা উচিত নয় ? আরও বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পাঠানো ত্রাণ বিলি করতে বাধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আমাদের দাবি, কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে NIA কে দিয়ে তদন্ত করুক ও দোষীদের কঠোরতম শাস্তি প্রদান করুক। আগামী দিনে এই ইস্যুতে সারাদেশে বৃহত্তম প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন অলোক কুমার।

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ নিয়েঈ তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বিয়ে করতে দেরি করছেন। তাদের দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয়ে সংসার করতে হবে এবং দুই-তিনটি সন্তান গ্রহণেরও নিদান দিয়েছেন অলোক কুমার।

বেদ পাঠের অধিকার সবার রয়েছে। ওড়িশায় গিয়ে জনজাতি সমাজের বালিকারাও বেদ পাঠ করছেন দেখে আনন্দিত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

যারা আমাদের এই দেশে ছিলেন তাদের এই সময়ের উপযোগী এবং যারা বাইরে থেকে এসেছেন তাদের এই দেশের ভাবনার অনুকূল বানাতে হবে। তার জন্য সেবা করতে হবে বলেও জানান অলোক কুমার।

Related posts

Leave a Comment