কাঠমান্ডু, শুক্রবার: নেপালের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন সুশীলা কার্কি। ৭৩ বছর বয়সে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি। ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে এসে তিনি যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন পাহাড়ি দেশে।
ভারতের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক গভীর। বারাণসীর কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) ছাত্রী ছিলেন তিনি। গঙ্গার ধারেই ছিল তাঁর হোস্টেল। শপথের পর ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, ‘আমি এখনও আমার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মনে করি। গঙ্গার ধারে হোস্টেল ছিল। গরমকালে আমরা ছাদে শুয়েই রাত কাটাতাম।’
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত প্রসঙ্গে তাঁর সোজাসাপটা মন্তব্য, ‘প্রথমেই আমি মোদীজিকে নমস্কার বলব। ওঁর সম্পর্কে আমার ভাল ধারণা আছে। ভারত সব সময় নেপালকে সাহায্য করেছে। তবে হাঁড়ি-কলসি একসঙ্গে থাকলে শব্দ হবেই, দেশের সম্পর্কেও তাই হয়।’
কার্কি জোর দিয়েছেন দুই দেশের মানুষের ঘনিষ্ঠতার ওপর। তাঁর ভাষায়, ‘নেপাল-ভারতের মানুষ আত্মীয়ের মতো। এত ভালবাসা, এত শুভেচ্ছা— এটাই আমাদের প্রকৃত শক্তি।’
তবে আন্তর্জাতিক নীতি প্রসঙ্গে তিনি খুব বেশি কিছু খোলসা করেননি। তাঁর মতে, ‘নীতি তৈরি হয় আলোচনার মাধ্যমে। ভারতের সঙ্গে অনেক দিন যোগাযোগ হয়নি, এখন আলোচনা করে এগোতে হবে।’
নিজ শহর বিরাটনগরের কথা বলতে গিয়েও স্মৃতিতে ভেসে উঠেছে শৈশব। সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ মাইল দূরে তাঁর বাড়ি। ছোটবেলায় সীমান্তের হাটে নিয়মিত যেতেন বলে জানিয়েছেন।
ভারত প্রসঙ্গ টেনে তিনি আবারও যোগ করেন, ‘আমরা ভারতীয় নেতাদের ভাইবোনের মতো মনে করি। মোদীজিকে নিয়েও আমার ভাল ধারণা আছে।’
