মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতের প্রতি “বিচ্ছিন্নতামূলক নীতি” গ্রহণের কারণে। তাদের মতে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা-নিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে চাইছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস (NYT)-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ভারতের সবচেয়ে বড় কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্প প্রশাসনই ভূমিকা রেখেছে।”প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন মোদীকে চীন ও রাশিয়ার দিকে আরও কাছে টেনে নিচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে চীনে আছেন শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। ২০১৮ সালের পর এটি তাঁর প্রথম চীন সফর। 
২০২০ সালের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর এবারই প্রথম তিনি শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ায় নয়াদিল্লি ক্ষুব্ধ। NYT লিখেছে, “এই দ্বিগুণ শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারত এখন চীনের দিকে ঝুঁকতে চাইছে।”চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এই SCO সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মোদীর উপস্থিতি, সঙ্গে আরও ডজনখানেক উদীয়মান অর্থনীতির নেতারা, স্পষ্টতই বৈপরীত্য তৈরি করছে ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের সঙ্গে।
চীন এই ২০২৫ সালের SCO সম্মেলনকে (২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি সবচেয়ে বড় সমাবেশ) ইতিমধ্যেই অভিহিত করছে—“আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন ধারা গড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি” হিসেবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, শি জিনপিং এই সম্মেলনকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চাইছেন— আমেরিকা ও ইউরোপ ছাড়া নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা কেমন হতে পারে।

