উত্তর প্রদেশ সরকার এনসিআর অঞ্চলে ধর্মীয় পর্যটনের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদের আটটি ঐতিহ্যবাহী ও ধর্মীয় স্থানের উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাচীন মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও গুরুদোয়ারাগুলির ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানান, “উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানে দর্শনার্থীর সংখ্যা নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে।
অযোধ্যা, কাশী ও মথুরা যেমন প্রধান কেন্দ্র, তেমনি এনসিআর অঞ্চলও দ্রুত নতুন আকর্ষণ হিসেবে উঠে আসছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ভক্তদের সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিও নতুন গতি পাবে।”গৌতম বুদ্ধ নগরে উন্নয়ন কাজ হবে নগলি ওয়াজিদপুর গ্রামের প্রাচীন বেরিওয়ালা মন্দির ও জেওয়ারের সীরসা মাচিপুরের মা ভুদাওয়ালি দেবী মন্দিরে, প্রতিটি স্থানে ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ। এছাড়া, নোইডার অক্ষরধাম কলোনির ধম্মদীপ বৌদ্ধ বিহার ও গ্রেটার নোইডার সুরাজ নগরের গুরুদোয়ারা সিং সভার সৌন্দর্যায়ন ও সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
গাজিয়াবাদ জেলায় মুরাদনগরের শ্রী হনুমান মন্দির, সাহিবাবাদের সিহানির প্রাচীন শিব মন্দির, মোদীনগরের চুকাইওয়ালি মাতা মন্দির এবং জয় ভীম পার্কের বড়সড় সংস্কার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সৌন্দর্যায়ন, উন্নত স্যানিটেশন, পানীয় জল সরবরাহ এবং প্রাথমিক অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে, যাতে ভক্ত ও পর্যটকদের ভ্রমণ আরও আরামদায়ক হয়। সরকারের আশা, এর ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।মন্ত্রী জয়বীর সিং বলেন, “আমাদের সরকার উত্তর প্রদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এনসিআরের এই প্রকল্পগুলি প্রাচীন মন্দির ও তীর্থক্ষেত্রগুলিকে নতুন জীবন দেবে, কর্মসংস্থান বাড়াবে এবং সারা দেশ থেকে দর্শনার্থী আকর্ষণ করবে।”পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান সচিব মুখেশ কুমার মেশ্রাম বলেন, এই উদ্যোগ এনসিআরকে আধ্যাত্মিক পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে আরও সুদৃঢ় করবে। “ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক সুবিধার সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য একই সঙ্গে প্রামাণিকতা ও আরাম নিশ্চিত করছি,” তিনি মন্তব্য করেন।
