ট্রাম্প বলেছেন, তার লক্ষ্য রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা। আলাস্কায় যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার এই প্রচেষ্টা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।
তিনি বলেন, “আমি এটা নিজের স্বাস্থ্যের জন্য করছি না। আমি আমাদের দেশকে কেন্দ্র করতে চাই — কিন্তু আমি এটা করছি অনেক মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।”
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বৈঠক ভালোভাবে না চললে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। ভূখণ্ড বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের।
“এই বিষয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু আমাকে ইউক্রেনকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে… আমি ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনায় আসিনি। আমি এসেছি তাদের টেবিলে বসাতে,” তিনি ব্যাখ্যা করেন।
ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইউক্রেন ভবিষ্যতে একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হতে পারে, যদিও তা ন্যাটোর আকারে নয়। 
তিনি যোগ করেন, “ন্যাটোর আকারে নয় কারণ কিছু বিষয় ঘটবে না — কিন্তু ইউরোপের সঙ্গে মিলিত হয়ে এর সম্ভাবনা রয়েছে।”
রাশিয়ার দাবির বিষয়ে ইউক্রেনের অবস্থান
ইউক্রেন স্পষ্ট করেছে যে তারা রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না এবং রাশিয়ার দখলদারিত্বকে কখনো স্বীকৃতি দেবে না।
“ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারের হাতে দেবে না,” প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্প এই মাসের শুরুর দিকে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর।
পুতিন যদি দোনবাস অঞ্চলের যে অংশ এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে সেটি ছাড়ার দাবি করেন—এই রিপোর্টের জবাবে জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ রাশিয়ার জন্য আরেকটি আক্রমণের পথ খুলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা যদি আজ দোনবাস থেকে — আমাদের প্রতিরক্ষা, আমাদের ভূখণ্ড, আমাদের দখল করা উঁচু স্থানগুলো থেকে — সরে যাই, তাহলে আমরা স্পষ্টতই রাশিয়ানদের জন্য নতুন আক্রমণের একটি সেতুবন্ধ তৈরি করব।”
							next post
						
						
					
