November 1, 2025
রাজ্য

তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে খুনের হুমকি গ্রেপ্তার ৬

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে খুনের হুমকি কয়েকজন দুষ্কৃতীর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্তে নেমে মালদহ জেলা পুলিশ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথমে মূল অভিযুক্ত শাহাদাত শেখকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। রবিবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ডি-কোম্পানির নাম করে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে হুমকি দেয় বলে খবরে প্রকাশ।

বাড়ানো হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা। কৃষ্ণেন্দুর দাবি, ‘ডি কোম্পানি’ থেকে ফোন করা হয়েছিল। তাঁর কাছে বড় অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছে। ডি কোম্পানির পক্ষ থেকে ‘বিশ পেটি’ পাঠাতে বলা হয়েছে তাঁকে। হুমকি ফোন নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি কৃষ্ণেন্দু। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ‘বিশ পেটি’র অর্থ ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ জানানোর পরই কৃষ্ণেন্দুর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার পরে দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির নাম করে তৃণমূল নেতার কাছে ফোন আসে। ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ফোনের মেসেজ দেখেছেন কি না। জবাবে কৃষ্ণেন্দু বাবু বলেন, কোনও মেসেজ দেখেননি তিনি। তারপর ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়, শনিবারের মধ্যে ‘২০ পেটি’ টাকা পাঠাতে হবে। না হলে খুন হয়ে যাবেন তিনি। সেই হুমকি ফোনের পরেই প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা। সেইমতো দ্রুত ঘটনার তদন্তে নামে মালদহ জেলা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত শাহাদাত শেখ চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে ফোন করে খুনের হুমকি দেয়। পুলিশ যাতে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে না পারে, সেজন্য শাহাদাত মালদহ থেকে কলকাতায় চলে যায়। সেখান থেকে ডি কোম্পানির নাম করে খুনের হুমকি দিয়ে ফের মালদহে ফিরে আসে। এই হুমকির অভিযোগ পেয়েই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বড়সড় সাফল্য দেখাল পুলিশ। পরের দিন আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শাহাদাত শেখ জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি সে বেশ কিছু টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল। ধার নিয়েও শোধ দিতে পারছিল না। সেই টাকা দ্রুত সংগ্রহ করতে হুমকি ফোনের ছক কষে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করে।

২০২৫ সালের শুরুতে মালদায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এবার সেই মালদা জেলাতেই হুমকি ফোন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাও আবার ডি–কোম্পানির নাম করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

Related posts

Leave a Comment