রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স শুনানির সময় মঙ্গলবার (আগস্ট ২১, ২৬ ও ২৮) টানা তৃতীয় দিনে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রাজ্যপাল কোনো বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। আদালত উল্লেখ করে, রাজ্যপাল কোনো “সুপার চিফ মিনিস্টার” নন, বরং কেবলমাত্র এক আনুষ্ঠানিক সাংবিধানিক পদাধিকারী, যার ভূমিকা হলো রাজ্য প্রশাসনে সমন্বয় ও সহযোগিতা করা।
প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, রাজ্যপালের কাজ বিল ছয় মাস ধরে আটকে রাখা নয়। আর্টিকেল ২০০ অনুসারে, রাজ্যপালের সামনে মাত্র তিনটি বিকল্প থাকে—বিল অনুমোদন করা, পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠানো অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো।সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি যুক্তি দেখান যে, রাজ্যপালের বিল আটকে রাখার কোনো ক্ষমতা নেই, এ ধরনের ব্যাখ্যা সাংবিধানিক কাঠামোর বিরোধী।
তিনি সংবিধান সভার আলোচনার উল্লেখ করে বলেন, ড. বি. আর. আম্বেদকরও রাজ্যপালের পদকে ‘অলঙ্কারিক প্রধান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।রাষ্ট্রপতির ১৫ মে, ২০২৫-এর রেফারেন্সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—আদালত কি তার এখতিয়ার ছাড়িয়ে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, এবং “ডিমড অ্যাসেন্ট” ধারণা কি ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী কিনা।কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য এই রেফারেন্সকে সমর্থন করেছে। তবে তামিলনাড়ু ও কেরালা এর বিরোধিতা করে বলেছে, এই বিষয় ইতিমধ্যেই আদালতের ব্যাখ্যায় স্পষ্ট, তাই এটি আর রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের আওতায় পড়ে না।
