October 31, 2025
দেশ

আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তিতে ভারত-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীলতা জরুরি: মোদি

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল, পূর্বানুমেয় এবং গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

কাজানে গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে, মোদি তা স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, পারস্পরিক সম্মান, স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতেই সম্পর্ক এগিয়েছে। এর মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়াও রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের সরকারি বাসভবনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী এক্স (X)-এ লিখেছেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত। কাজানে প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্ক ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছে। আমরা উভয়ে একে অপরের স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছি। আমি তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের পরবর্তী বৈঠকের অপেক্ষায় আছি।”

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ওয়াং ই এই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বার্তা ও এসসিও সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ মোদির হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট শি’কে ধন্যবাদ জানান এবং আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসসিও সম্মেলন তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় (পিএমও) জানায়, ওয়াং ই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করা ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক মূল্যায়ন শেয়ার করেন।

পিএমও’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সীমান্ত সমস্যার ন্যায্য, যৌক্তিক ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মোদি আরও জানান, তিনি এসসিও সম্মেলনে চীনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করেন এবং তিয়ানজিনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন।

Related posts

Leave a Comment