November 1, 2025
রাজ্য

প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ, গোলযোগের খবর নেই

রাজ্যের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্রথম দফার পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হল। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে দেড়টায় শেষ হয় পরীক্ষা। বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি আধ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত থাকায় তাঁদের পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ২টায়। কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলার খবর মেলেনি। পরীক্ষার্থীরাও প্রশ্নপত্র নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় এ বার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছিল কমিশন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ওএমআরের কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। পরীক্ষার পরে অনেকে সেই কপিও সঙ্গে করে বের হন। নতুন বিধি অনুযায়ী, নিয়োগ প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট কার্যকর থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর এক বছর। প্রয়োজনে সরকারের অনুমতি নিয়ে মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়ানো যাবে। এছাড়া প্যানেলের মেয়াদ শেষ হলে ওএমআর শিট দুই বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে এবং স্ক্যান কপি রাখা হবে ১০ বছর পর্যন্ত।

রবিবার নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেন মোট ৩,১৯,৯১৯ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা হয় রাজ্যের ৬৩৬টি কেন্দ্রে। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে ৪৭৮টি কেন্দ্রে। তাতে পরীক্ষার্থী থাকবেন প্রায় ২,৪৬,৫০০ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ফের আবেদন করেছেন। ফলে আগের বারের তুলনায় এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই লক্ষেরও বেশি।

২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কমিশন ও রাজ্য সরকারকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে যায় সে বছরের প্যানেল। চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। আদালতের নির্দেশ মেনে ফের নতুন করে পরীক্ষা হচ্ছে।

এই পরীক্ষা নিয়েও আইনি টানাপড়েন চলেছিল। সুপ্রিম কোর্ট যাঁদের ‘দাগি’ বা টেন্টেড হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে ১,৮০৬ জনের নাম ‘অযোগ্য’-র তালিকায় প্রকাশ করে কমিশন। তবে পরীক্ষার্থীরা আশা করছেন, এ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ।

Related posts

Leave a Comment