October 31, 2025
দেশ

সবরিমালা স্বর্ণ-কেলেঙ্কারি: দেবস্বম বোর্ডের সদস্য-অধিকর্তারা অন্য কারও হয়ে কাজ করেছেন, SIT রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি

তিরুবনন্তপুরম, ২অক্টোবর: সবরিমালা মন্দিরে স্বর্ণ-চুরিকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য। কেরল হাইকোর্টে জমা দেওয়া বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ডের (TDB) সদস্য এবং কয়েকজন কর্মী ‘কাউকে’ উদ্দেশ্য করে এবং ‘কারও নির্দেশে’ স্বর্ণ সংশ্লিষ্ট কাজগুলি করেছিলেন।

তদন্তকারী দল জানিয়েছে, নথিপত্র থেকেই এই ষড়যন্ত্রের প্রমাণ স্পষ্ট।হাইকোর্টের নির্দেশে SIT বোর্ডের মিনিটস বুক বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিযোগ, ২০১৯ সালেই দ্বারপালক মূর্তি ও গর্ভগৃহের দরজার সোনালি আবরণ (gold-plated panels) বহিরাগতদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গোপনে নেওয়া হয়েছিল এবং দেবস্বম বোর্ড প্রথমে নথি জমা দিতেই অনীহা দেখায়।হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, বর্তমান বোর্ডও এই স্বর্ণচুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল।

শুধু স্বর্ণের আবরণ নয়, বরং বৃহত্তর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেয় আদালত।আদালত বলেছে—২০১9 সালে উণ্মীকৃষ্ণন পট্টির হাতে কাজ অর্পণের সিদ্ধান্ত থেকেই ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হয়েছিল। দেবস্বম বোর্ড ম্যানুয়াল অনুযায়ী—এ ধরনের স্বর্ণ-মেরামতি সন্নিধানমের (মন্দির সংলগ্ন প্রাঙ্গণ) মধ্যেই করার কথা ছিল। কিন্তু নিয়ম ভেঙে বাইরে পাঠানো হয়। মামলায় আরও উল্লেখ, মূর্তি ফেরানোর সময় ওজন করা হয়নি, যা বড়সড় গাফিলতি এবং ইচ্ছাকৃত অসততা নির্দেশ করে।হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানায়—
“উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারেন না।

দেবতার সম্পত্তি নষ্ট বা চুরি হওয়া রোধ করা তাঁদের সম্মিলিত দায়িত্ব ছিল।”এদিকে দেবস্বম বোর্ডের সভাপতি পি.এস. প্রসান্ত দাবি করেছেন, বোর্ড এই চুরির সঙ্গে যুক্ত নয় এবং তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়নি। তিনি কাউকে স্বর্ণ-মেরামতির অনুমতি দেননি বলেও দাবি করেন, পাশাপাশি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে “ত্রুটি” আছে বলে উল্লেখ করেন।সবরিমালা স্বর্ণ-কেলেঙ্কারি এখন নতুন মোড়ে। আদালতের নির্দেশে এখন তদন্ত আরও গভীরে পৌঁছবে এবং বোর্ডের শীর্ষস্তরের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।

Related posts

Leave a Comment