সংসদের চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশনের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে একটি বিস্তৃত আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলোচনার সময় অংশ নিতে পারেন বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ মূল মন্ত্রীরা এই বিতর্কে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যার লক্ষ্য ভারতের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কৌশলগত ও কূটনৈতিক মাত্রা তুলে ধরা।
সোমবার লোকসভায় তীব্র আলোচনার পর এই বিতর্ক শুরু হয়, যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, আবার উস্কানি দেওয়া হলে ভারত আবার ধর্মঘট শুরু করতে দ্বিধা করবে না। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট বার্তা হোক। ভারত যে কোনও আগ্রাসনের সিদ্ধান্তমূলক জবাব দেবে “, ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে জোরালো করতালি পেয়ে সিং বলেন।
7ই মে শুরু হওয়া অপারেশন সিন্দুর ছিল 22শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহলগামে মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া, যার ফলে অনেক পর্যটক সহ 26 জনের প্রাণহানি ঘটে। এই অভিযানটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির একটি যৌথ প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য ছিল আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করা।
লোকসভায় সিং-এর বিবৃতি অনুসারে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অভিযানের সময় 100 জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে নয়টি সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো লক্ষ্যবস্তু নিখুঁত হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছিল।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সভায় বক্তব্য রাখেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে যা ভারতের পদক্ষেপের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং বোঝাপড়া নিশ্চিত করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিং এবং জয়শঙ্কর উভয়ের বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন, তাদের “অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য নতুন ভারতের শক্তি ও সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।
যেহেতু রাজ্যসভা বিষয়টি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই এই আলোচনা অপারেশন সিন্দুরের বাস্তবায়ন এবং প্রভাব সম্পর্কে আরও আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

