১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম সাধারণতন্ত্র দিবসেও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেবারের অতিথি। এবার ২০২৫-এ সাধারণতন্ত্র দিবসে ফের প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবয়ো সুবিয়ান্তো। তবে প্রাবয়ো দিল্লি আসার আগেই যে বিষয়টি রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে তা হলো এক প্রবাসী সিঙ্গাপুর- ইন্দোনেশিয়ার শিল্পপতির সঙ্গে মোদীর বৈঠক।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি, প্রাবয়োর বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতেই বাঙালি শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানের কথা হয়েছে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, প্রেসিডেন্ট প্রাবয়ো সুবিয়ান্তোকে প্রধান অতিথি হিসাবে আনার পেছনে কাজ করেছে মোদীর ইসলামিক প্রীতি দেখানোর উদ্যোগ। কোনও এক ইসলামিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসাবে নিয়ে এসে কেন্দ্র নিজেদের ‘মুসলিম-দরদি’ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
পাশাপাশি, বর্তমানে দিল্লি-জাকার্তা সম্পর্কও নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্রহ্মোস চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রেসিডেন্টের এই ভারত সফরেই সেই চুক্তি হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জাকার্তায় ভারতীয় দূতাবাসে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করার বার্তা পাঠিয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি, জাকার্তার দিক থেকেও এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই ভারতের বার্তা পাওয়ার পরই দিল্লি থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন প্রাবয়ো। সুবিয়ান্তো ভারত থেকে সরাসরি তাঁর দেশে ফিরবেন। তারপর সেখান থেকে পাকিস্তান যাবেন।
রিপোর্টের দাবি, প্রবায়োর ভারত সফরের আগে, ‘ইউনিভার্সাল সাকসেস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’র চেয়ারম্যান প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সদ্য দিল্লিতে বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আসার আগে, খোঁজ খবর নিতেই প্রসূনের মুখোমুখি হন মোদী।
previous post