November 1, 2025
দেশ

আজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

সাত বছর পর চীন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। দু’নেতার বৈঠক দুপুর নাগাদ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত প্রতিহিংসামূলক শুল্কের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ২০২৫ সালের এসসিও সম্মেলনকেই সবচেয়ে বড় বলে ধরা হচ্ছে। চীন ইতিমধ্যেই একে “আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন ধারা গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি” হিসেবে উল্লেখ করেছে। এটিকে গ্লোবাল সাউথের ঐক্যের বড় প্রদর্শনী হিসেবেও দেখা হচ্ছে, বিশেষত ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

শনিবার তিয়ানজিনে পৌঁছনোর প্রায় ১০ মাস পর মোদী চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। এর আগে দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল গত বছর রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সময়।

তার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার চলছে এবং শিগগিরই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে এবং বেইজিং অবিচ্ছিন্ন ইউরিয়া ও রেয়ার আর্থ মিনারেলস সরবরাহে সম্মতি দিয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। সেখানেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর তরফ থেকে মোদীকে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন তিনি।

ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী উল্লেখ করেন, কাজান শহরে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীলতা, পূর্বানুমেয় এবং গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Related posts

Leave a Comment