প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার হঠাৎ প্রয়াত জুবিন গার্গ-এর মৃত্যুতে দেশকে শোকাহত অবস্থায় একত্রিত করেছেন। গায়ক ও আসামের সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গার্গ সিঙ্গাপুরে মারা যান, বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।X-এ হৃদয়স্পর্শী বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন: “জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গার্গ-এর হঠাৎ প্রয়াণে আমি শকড।
তিনি সঙ্গীতে সমৃদ্ধ অবদান রেখে গেছেন। তার গান মানুষে মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল। পরিবারের প্রতি এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।”মোদির কথায় আসাম ও উত্তর-পূর্বের মানুষের শোকের প্রতিফলন দেখা যায়। জুবিন তাদের কাছে পরিচয়ের, গর্বের এবং আত্মীয়তার সঙ্গীতের কণ্ঠস্বর ছিলেন।
“আসামের হার্টথ্রব” হিসেবে পরিচিত, তার মৃত্যু পরিবার থেকে একজন প্রিয়জন হারানোর মতো অনুভূতি সৃষ্টি করেছে।কর্মজীবনের দিকে ফিরে দেখা যায়—১৯৯২ সালে তার ‘অনামিকা’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়, যা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। গানগুলো মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান পায়। ২০০৬ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির জন্য তিনি ‘য়া আলি’ গানটি গেয়ে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি পান।
জীবদ্দশায় তিনি প্রায় ৪০ ভাষায় ৩৮,০০০-এর বেশি গান রেকর্ড করেছেন। আসামের গান থেকে হিন্দি, বাংলা, নেপালি সহ নানা ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন। কিন্তু তাঁর হৃদয় সবসময় আসামে নিবদ্ধ ছিল।
গুয়াহাটি বা দিবার্ঘের কনসার্টগুলো যেন উৎসবের মতো হতো, যেখানে হাজারো মানুষ একসঙ্গে তাঁর সঙ্গে গান গাইত।জুবিন গার্গ হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তবে তাঁর সৃষ্টি করা সঙ্গীত চিরকাল বাঁচবে। এগুলো বহন করবে সেই মানুষের আত্মা, যিনি আসামের আধুনিক হৃদস্পন্দনকে উপহার দিয়েছেন।
