নয়াদিল্লি, ১৫ আগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া দীর্ঘতম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত দশ বছরে ভারতের অগ্রগতির চিত্র বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, গত এক দশকে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক খাতে যে পরিবর্তন ঘটেছে, তার ভিত্তিতেই আগামী দিনগুলিতে ‘বিকশিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সড়ক-রেল-বন্দর-উড়ানসহ অবকাঠামো সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ, ডিজিটাল পেমেন্টের বিস্তার, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনে তরুণদের অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক গতিশীলতা শক্ত ভিত্তি পেয়েছে। একই সঙ্গে কৃষক, শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্তের জন্য সামাজিক সুরক্ষা জাল আরও মজবুত করার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে ‘জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম চালিকা শক্তি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে মোদী শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা ও উদ্যোক্তা-সহায়তার ওপর জোর দেন। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে মাইক্রো, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলির ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতা এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর আদর্শ পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্যে পরিবেশ-সহায়ক উন্নয়ন, স্থানীয় উৎপাদন শক্তিশালী করা এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রশাসনের দিকনির্দেশও উঠে আসে।
শেষে তিনি ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা ব্যক্ত করে বলেন, নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আগামী বছরগুলোতে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
