যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে একসঙ্গে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির বিরোধিতায় সুর মিলিয়েছে। প্রণয়নের যৌক্তিকতা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। আইন মন্ত্রক সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে জানিয়েছে, এক দেশ এক ভোট বিল কার্যকর করতে রাজ্য বিধানসভাগুলির অনুমতির প্রয়োজন নেই। মন্ত্রক জানিয়েছে, লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে করা অগণতান্ত্রিক নয়। এর ফলে দেশের সাংবিধানিক যৌথ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং একসঙ্গে ভোট হলে উন্নয়নের কাজে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যাবে। অতীতে দেশে একসঙ্গে নির্বাচন করা হত, সেই উদাহরণও জেপিসির সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসবে ওই সংসদীয় কমিটি। আইন কমিশন এবং আইন বিশেষজ্ঞরা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে নিজেদের মতামত জানাবেন। সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকেও।
যদিও বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখছে সংসদীয় কমিটি। বিরোধী শিবির যতই বলুক, এই বিল অগণতান্ত্রিক, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তাতে কেন্দ্রের কিছু যায় আসেনা বলেই দেখা গিয়েছে। এবা সেই বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটির স্ক্রুটিনির উত্তর আসার পর বিজেপি শিবিরের দাবি আরও শক্তপোক্ত হল। কারণ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক বলছে, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে একসঙ্গে ভোট করা অগণতান্ত্রিক নয়।উল্লেখ্য, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও মোদি সরকার সংসদে এক দেশ এক ভোট বিল পেশ করলেও তা পাশ না করিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি) পাঠিয়েছে।
previous post
next post