জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটি ছিল ভারত-চীন বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের ২৪তম বৈঠক।
দুই পক্ষ সীমান্ত সংক্রান্ত সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ডোভাল নিশ্চিত করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিগগিরই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফর করবেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং সেই কারণে এই বৈঠকগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।”
বৈঠকে মূলত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-তে সেনা হ্রাস ও উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। বর্তমানে ভারত ও চীনের সেনারা সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে এবং উভয় পক্ষই পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনা প্রত্যাহারের পথ নিয়ে আলোচনা করেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি চলতি মাসের শেষ দিকে চীন সফরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে তিনি এসসিও সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করতে পারেন। বৈঠকের আগে উভয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো মীমাংসা করতে চাইছে, যাতে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
এর আগে সোমবার ওয়াং ই দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসময় দুই নেতা অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক, তীর্থযাত্রা, মানুষে-মানুষে বিনিময়, নদীর তথ্য ভাগাভাগি, সীমান্ত বাণিজ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের শুরুতে জয়শঙ্কর বলেন, “এই বৈঠক আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার সুযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়েও মতবিনিময় করার উপযুক্ত সময় এটি।”
তিনি স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশ সম্পর্কের কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই কঠিন পর্ব পেরিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এর জন্য খোলামেলা ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি। আমাদের তিনটি নীতিকে ভিত্তি করতে হবে—পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ। মতপার্থক্য যেন বিরোধে পরিণত না হয়, প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে রূপ না নেয়।”
