পয়লা বৈশাখের পরে নিউ মার্কেট চত্বরে ফের চালু হতে চলেছে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান। মূল রাস্তা যাতে হকারমুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এবার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই অভিযান চালানো হবে কলকাতা পুলিশ, টাউন ভেন্ডিং কমিটি এবং পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিউ মার্কেটের চারপাশে যে রাস্তা ও ফুটপাতগুলিতে এখন হকাররা বসে রয়েছেন, সেগুলি পুরোপুরি দখলমুক্ত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। তবে এবারের অভিযান একেবারে আলাদা রকমের। হকারদের সরানোর কাজে পুরসভার পুরনো অস্ত্র, ‘হালা ব্রিগেড’-কে আবার নামানো হতে পারে। জানা গিয়েছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের গাড়িগুলিকে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় স্থায়ীভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে, যাতে হকাররা ফের বসতে না পারেন।
যদিও পুরসভায় এখন ‘হালা ব্রিগেড’ নামে কোনও ইউনিট নেই, তবে এই বিশেষ অভিযানের জন্য তা অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
পুরসভার দাবি, বহুবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও হকাররা রাস্তা ছাড়েননি। তাই এবার আর সময় নষ্ট না করে সরাসরি অ্যাকশনে নামতে চলেছে তারা।
প্রায় ১৫ বছর আগে এই হালা ব্রিগেড দারুণ কাজ করেছিল নিউ মার্কেট এলাকায়। যেখানে বেআইনিভাবে দোকান বসানো হতো, সেখান থেকে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করত তারা। সেই পুরনো পদ্ধতি ফের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে প্রশাসন।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হকার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য শক্তিমান ঘোষ। তিনি বলেন, ‘হালা ব্রিগেডকে নতুন করে সক্রিয় করা দরকার। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এটা জরুরি।’
অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে কিছু হকার নেতাকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেরা দখল ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, হগ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংগঠন পুরসভাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন। এমনকি দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদও করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
সংগঠনের সদস্য আশরাফ আলির বক্তব্য, ‘প্রতিবার দেখা যায়, হকার উচ্ছেদ হলেও কিছুদিন পর তারা আবার ফিরে আসে। তাই এবার যেন স্থায়ী সমাধান হয়, সেটাই চাই।’
previous post