নেপালে মঙ্গলবার সহিংস বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সোমবারের বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৩০০-র বেশি আহত হয়েছিলেন। এর মূল কারণ ছিল সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধকরণ (যা পরে প্রত্যাহার করা হয়) ও দুর্নীতির অভিযোগ।আজ ভক্তপুর জেলার বালকোটে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি’র ব্যক্তিগত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে তিনি নিরাপদে রয়েছেন সরকারি বাসভবন বালওয়াতারে।
একইসঙ্গে শাসক দলের কার্যালয়, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং জনকপুরের সরকারি ভবনগুলোতেও আগুন লাগানো হয়।ছাড়া, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিথ্বী সুব্বা গুরুঙ-এর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, অর্থমন্ত্রী বিশ্বনু পাউডেল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেল এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও বিরোধী নেতা পুষ্প কমল দাহাল-এর বাসভবনেও হামলার চেষ্টা করা হয়।দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী ও নেতাদের বাড়িতেও আক্রমণ চালায় বিক্ষোভকারীরা।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি।এদিকে, নিরাপত্তাজনিত কারণে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বাড়ছে চাপ— প্রধানমন্ত্রী অলি’কেও পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি তুলছে আন্দোলনকারীরা।
