নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। কাঠমান্ডু ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিক্ষোভের কারণ ছিল সম্প্রতি জারি করা সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধকরণ (যা পরে প্রত্যাহার করা হয়) এবং দুর্নীতির অভিযোগ।
অলি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন যখন শত শত বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এর আগে সোমবার বিক্ষোভ দমনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মন্ত্রিসভার চারজন মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছিলেন।নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল আনুষ্ঠানিকভাবে অলি’র পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন। এই খবরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উদযাপন শুরু হয়।টানা দুই দিন ধরে সহিংসতা চলেছে নেপালে।
সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৩০০-র বেশি আহত হয়েছেন। বেশিরভাগ ঘটেছে কাঠমান্ডু ও আশেপাশের এলাকায়।এদিন বিক্ষোভকারীরা ভক্তপুর জেলার বালকোটে অবস্থিত অলি’র ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন লাগায়। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বালওয়াতারে ছিলেন।
এছাড়া শাসক দলের অফিস, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়, জনকপুরের বিভিন্ন ভবন, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
