November 2, 2025
বিদেশ

নেপালে সঙ্কট: ওলির পদত্যাগের পর সেনা নিয়ন্ত্রণে দেশ, পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে সিসিএস বৈঠক

টানা দ্বিতীয় দিন অশান্তিতে কাঁপল হিমালয় পার্বত্যের দেশ নেপাল। মঙ্গলবারও রাজধানী কাঠমান্ডুসহ একাধিক শহরে জেন জি প্রজন্মের প্রতিবাদকারীরা তাণ্ডব চালায়। তারা সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাসনসহ একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ব্যাংক লুট, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ইট-পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটে।

সোমবার পুলিশের গুলিতে ১৯ জন প্রতিবাদকারীর মৃত্যুর পর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অভিযোগ দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ রক্তাক্ত রূপ নেয়। এর জেরেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি ও তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য পদত্যাগ করেন।

রাগান্বিত ভিড় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তাঁর স্ত্রী রাজলক্ষ্মী চিত্রকারের অগ্নিদগ্ধ্ হয়ে মৃত্যু হয়। অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাওডেলকেও বিক্ষুব্ধ জনতা প্রহার করে।

প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকারি বাসভবন বালুওয়াতারে পৌঁছে যাওয়ার হুমকি দিলে তাঁকে একটি গোপন স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব এখন নেপাল সেনার হাতে চলে গিয়েছে।

সেনার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “কিছু গোষ্ঠী বর্তমান জটিল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ নাগরিক ও সরকারি সম্পত্তির গুরুতর ক্ষতি করছে।” সেনাবাহিনী প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ আলোচনায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সহিংসতা চলতে থাকলে সারা দেশে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেনা আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের প্রতিক্রিয়া: দিল্লিতে সিসিএস বৈঠক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেপালের সঙ্কট নিয়ে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (CCS) বৈঠক করেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “নেপালের সহিংসতা হৃদয়বিদারক। বহু তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন, যা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। নেপালের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের ভাই-বোনদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ— শান্তিকে সমর্থন করুন।”

Related posts

Leave a Comment