নয়াদিল্লি, ২৯ নভেম্বর: ভারতের সামরিক শক্তির ভবিষ্যৎ রূপরেখায় নৌবাহিনীই হবে সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক শক্তি—এ মন্তব্য করলেন প্রধান প্রতিরক্ষা আধিকারিক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দ্রুত বদলে যাওয়া ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক স্বার্থ ও কৌশলগত আধিপত্য রক্ষায় নৌসেনার আধুনিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি।
চৌহান জানান, বহুমাত্রিক হুমকি, সাবমেরিন শক্তির প্রতিযোগিতা, গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথে নজরদারি, এবং ‘ব্লু ওশান’ সক্ষমতা—সব মিলিয়ে আগামী দশকে নৌসেনার ভূমিকা আরও ব্যাপক হবে। তাঁর মন্তব্য, “ভারতের ভাগ্য নির্ধারণে সমুদ্রই হবে প্রধান ক্ষেত্র; আর সেই সমুদ্র-নির্ভর ক্ষমতায় নেতৃত্ব দেবে ভারতীয় নৌসেনা।”
তিনি আরও বলেন, স্বনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে দেশীয় জাহাজ নির্মাণ, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, আনম্যানড সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক-সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। নৌসেনার চলমান প্রকল্পগুলিকে ড্রাইভিং-ফোর্স হিসেবে উল্লেখ করে সিডিএস বলেন—এগুলিই আগামী দিনের সামরিক ভারসাম্য বদলে দেবে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা এবং ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন (SAGAR)’ নীতি—সবকিছু মিলিয়ে ভারতের নৌক্ষমতা বৃদ্ধিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অগ্রাধিকার।
Navy will play a decisive role in securing India’s
