২০২৬ বিধানসভা ভোটের এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি। তার আগেই দুর্গাপুরে ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাসে এসে অনুন্নয়ন এবং দুর্নীতির জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে দাগিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যবাসীকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়ে গেলেন, এ রাজ্যে তৃণমূল যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন রাজ্যের কোনও উন্নতি সম্ভব নয়। সিন্ডিকেটের তোলাবাজির জন্য কোনও শিল্পই আসবে না। বরং এই কারণে তৃণমূলের শাসনকালে বহু বিনিয়োগকারী রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, এদিন বক্তৃতার শুরুতে মোদী বাংলার চিরাচরিত দেবতা ‘জয় মা কালী’ এবং ‘জয় মা দূর্গা’ বলে বক্তৃতা শুরু করেন। তাঁর মুখে উঠে আসে বাংলার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বিধানচন্দ্র রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুরের নাম। তাঁদের প্রশংসা করে মোদী বলেন, বাংলা বদল চায়, বিকাশ চায়। আর তৃণমূল গেলে তবেই আসল পরিবর্তন হবে বলে দাবি করেন মোদী।
তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের শাসনকালে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখানে কেন্দ্রের প্রকল্প আটকানো হচ্ছে। তৃণমূল উন্নয়নের কাজ করতে দিচ্ছে না। রাজনীতির জন্য সবাইকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। যতদিন তৃণমূল থাকবে কিছু হতে দেবে না। কিন্তু সিন্ডিকেটরা পয়সা চাইছে, সেজন্য তারা আসতে রাজি নয়। তৃণমূলের আমলে শয়ে শয়ে কোম্পানি বাংলা ছেড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডা ট্যাক্স এখানে বিনিয়োগে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলায় মুর্শিদাবাদের মতো দাঙ্গা হয়। সিন্ডিকেটরাজ দেখে পালিয়ে যায় বিনিয়োগকারীরা
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় ডবল অ্যাটাক করেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা একেবারে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। দেশের সাংবিধানিক সংস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বাংলার যুব সমাজের বর্তমান আর ভবিষ্যৎ সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিজেপি বাংলাকে সঙ্কট থেকে বের করে আনতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলা এক সময় ভারতের বিকাশের কেন্দ্র ছিল। খানে এক সময় গোটা দেশের মানুষ রোজগারের জন্য আসতেন। বছরের পর বছর আমদানি রপ্তানির কেন্দ্র ছিল বাংলা। এখন এখান থেকে কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। ছোট কাজের জন্য অন্য রাজ্যে যাচ্ছে যুবকরা। এখানে সরকার প্রাণ আর দোকানের সুরক্ষা দিতে পারে না।
তৃণমূল গেলে তবেই আসল পরিবর্তন। তৃণতৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও। মা মাটি সরকারের আমলে নারী নির্যাতন বেড়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে তৃণমূল। যেখানে বিজেপি আছে, সেখানেই বাংলার সম্মান। এখানে বিনিয়োগকারী আসা চায়।
রাজ্যের এই সঙ্কট থেকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র বিজেপি। বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে অল্প কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ আসবে। তিনি বলেন, বিজেপি চায় এই রাজ্যের সার্বিক বিকাশ। বিজেপি বিকশিত বাংলার স্বপ্ন দেখে। বিজেপি সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ গঠন করতে চায়। বাংলা বদল চায়। বাংলা উন্নয়ন চায়। একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। বিজেপি আসলে কয়েক বছরে শিল্পে বাংলা প্রথম হবে। ত্রিপুরার বিকাশ হয়েছে, এবার ওড়িশারও বিকাশ হবে। বিজেপি আপনাদের আশির্বাদ চাইছে। একটা দমদার সরকার বানান।
previous post